এপি, ইসলামাবাদ :
বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন শেহবাজ শরীফ। রবিবার দেশটির জাতীয় পরিষদের আইনপ্রণেতারা তাকে নির্বাচিত করেন।
এ সময় পার্লামেন্টে অবস্থানরত কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মিত্ররা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে।
স্পিকার আয়াজ সাদিক বলেন, শরীফ ২০১ ভোট পেয়ে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের ওমর আইয়ুবকে পরাজিত করেন, যিনি ৯২ ভোট পেয়েছিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে শরীফের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৬৯ ভোট।
ওমর আইয়ুব পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি বা পিটিআই-এর সমর্থন পেয়েছিলেন, যাদের প্রার্থীরা নিজেরা সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত আসন পায়নি। পিটিআই প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে জোট গঠন করতে অস্বীকার করে।
কয়েকদিনের আলোচনার পর, ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পরে সমর্থকদের নিয়ে একটি জোট গঠন করে শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ। দেশব্যাপী মোবাইল নেটওয়ার্ক বিভ্রাটের কারণে অস্বাভাবিক দেরি করে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রার্থী ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর জঙ্গি হামলা এড়াতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা জরুরি ছিল।
এদিকে এই ফলাফল ঘোষণায় দেরির হওয়ার বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করে খানের দল। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ভোটে কারচুপি করা হয়েছিল বলে তারা জোর দাবি তুলেছিল। দলটি দাবি করে, তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে ‘ভোট গণনার সময় কারচুপি করে তাদের বিজয় চুরি করা হয়েছিল’। যদিও নির্বাচন কমিশন তা অস্বীকার করে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২