November 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, December 2nd, 2021, 12:54 pm

‘পিস রানার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বিশ্বজয়ী পরিব্রাজক নাজমুন নাহার

পৃথিবীর ১৫০তম দেশ ভ্রমণ করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী বাংলাদেশি পরিব্রাজক নাজমুন নাহার ‘পিস রানার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন। ওয়াশিংটনস ডিসির গেলর্ডে অনুষ্ঠিত ৩৫তম ফোবানা সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ২৭ নভেম্বর নাজমুন নাহারকে এই বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়।

এর আগে চলতি বছরের ৬ অক্টোবর নাজমুন নাহার বিশ্বের ১৫০তম দেশ ‘সাওটোমে অ্যান্ড প্রিন্সিপ’ ভ্রমণের মাধ্যমে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক সৃষ্টি করেন। নাজমুন বিশ্বের প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে ১৫০তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক সৃষ্টি করেছেন বাংলাদেশের পতাকা হাতে ও বিশ্বশান্তির বার্তা নিয়ে।

২০০০ সলে ভারতের ভুপালের পাঁচমারিতে ‘ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল এডভেঞ্চার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে নাজমুন নাহারের প্রথম বিশ্ব ভ্রমণের সূচনা হয়। ১ জুন ২০১৮ সালে নাজমুন ১০০ তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক সৃষ্টি করেন জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ের সীমান্তের ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের উপর।

নাজমুন বেশির ভাগ দেশ ভ্রমণ করেছেন সড়কপথে, কঠিন দুর্গম পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি, বহুবার মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে। বহু প্রতিকূল পরিবেশের মুখোমুখি হয়েও তিনি থামেননি, লাল-সবুজের পতাকা হাতে পৃথিবীতে উদ্যত বহমান চলছে তাঁর বিশ্বভ্রমণ।

বিশ্বের প্রতিটি দেশে বাংলাদেশের পতাকাকে পৌঁছে দিয়ে এক অনন্য রেকর্ড গড়ার মাধ্যমে পুরো বিশ্বের মানুষের কাছে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিক মূল্যবোধকে এগিয়ে দিচ্ছেন নাজমুন নাহার।

একাকী একজন নারী হিসেবে তাঁর বিশ্বভ্রমণের এই বিরল কাজের জন্য তিনি পৃথিবীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা ‘পিস টর্চ বিয়ারার অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন যুক্তরাষ্ট্রে। জাম্বিয়া সরকারের গভর্নর হ্যারিয়েট কায়োনার কাছ থেকে ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ উপাধি পান, দক্ষিণ সুদানে পেয়েছেন উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অ্যাওয়ার্ড। এছাড়া তিনি পেয়েছেন মিস আর্থ কুইন অ্যাওয়ার্ড, অনন্যা শীর্ষ দশ সম্মাননা, গেম চেঞ্জার অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড, মোস্ট ইনফ্লুয়েন্সিয়াল উইমেন অব বাংলাদেশ, গ্লোব অ্যাওয়ার্ড, অতীশ দীপঙ্কর গোল্ড মেডেল সম্মাননা, জনটা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, তিন বাংলা সম্মাননা ও রেড ক্রিসেন্ট মোটিভেশনাল অ্যাওয়ার্ড।

নাজমুন নাহার উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এবং একজন গবেষক হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে হিউম্যান রাইটস ও এশিয়া বিষয়ে পড়াশোনা করেন।

—ইউএনবি