অনলাইন ডেস্ক :
রাশিয়ার ‘আগ্রাসী’ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে থামানো সম্ভব না হলে, এই পৃথিবী কারো জন্যই আর নিরাপদ থাকবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কা। ইউক্রেনে হামলা চালানো রুশ বাহিনী ‘গণহারে’ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করছে বলে এক খোলা চিঠিতে অভিযোগ করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ওলেনা জেলেনস্কা বলেছেন, পুতিন পারমাণবিক যুদ্ধ শুরুর হুমকি দিতে শুরু করেছেন। আমরা যদি এখনই তাকে না থামাই, তাহলে এই পথিবীতে কারো জন্যই নিরাপদ জায়গা বলতে কিছু থাকবে না। কমেডিয়ান থেকে রাজনীতিতে এসে ইউক্রেনের যুদ্ধকালীন নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া জেলেনস্কির সাহস ও নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্ব। তার স্ত্রী ওলেনা স্থাপত্যবিদ্যার ডিগ্রিধারী একজন চিত্রনাট্যকার। ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগের প্রচ্ছদেও তিনি এসেছিলেন। বিবিসি লিখেছে, রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলায় চিঠিতে দেশবাসীকে স্বাগত জানিয়েছেন ওলেনা জেলেনস্কা। সেইসঙ্গে রাশিয়ার আগ্রাসনকে ‘ভয়াবহ বাস্তবতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ফার্স্ট লেডি লিখেছেন, সত্যি সত্যি হামলা হবে, সেটা ‘বিশ্বাস করাও অসম্ভব ছিল’। আর এখন সেই যুদ্ধ লাখ ইউক্রেনীয়, বিশেষ করে শিশুদের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় নিয়ে এসেছে। সেই আগ্রাসন রুখে দেওয়ার চেষ্টায় দেশের মানুষের ভূমিকার প্রশংসা করে বিবিসি ওলেনা জেলেনস্কা বলেন, সেই আগ্রাসী লোকটি, পুতিন, তিনি ভেবেছিলেন, ইউক্রেনকে তিনি পিষে ফেলতে পারবেন। কিন্তু তিনি আমাদের দেশ, জনগণ এবং তাদের দেমপ্রেমকে খাটো করে দেখেছেন। ‘ক্রেমলিনের অপপ্রচারকারীরা বড়াই করে বলেছিল, ইউক্রেনীয়রা তাদের রক্ষাকর্তা হিসেবে মেনে নিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করে নেবে। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি, বরং তাদের মলোটভ ককটেলের মুখে পড়তে হয়েছে।’ ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন ও ত্রাণ সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ফার্স্ট লেডি। সেই সঙ্গে তার দেশের প্রকৃত যুদ্ধ পরিস্থিতি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হয় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। সোমবার যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে দেওয়া ভাষণে তিনি হাল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে তিনি সর্বত্র যুদ্ধ করে যাবেন।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু