March 29, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, January 30th, 2023, 8:22 pm

পুতিন আমাকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দিয়েছিল: বরিস জনসন

অনলাইন ডেস্ক :

ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে মাত্র ‘এক মিনিট লাগবে’ বলে পুতিন ধমকি দিয়েছিলেন বলে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, ইউক্রেইনে আক্রমণ শুরু করার আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন তাকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। জনসন দাবি করেছেন, এক ‘অস্বাভাবিক’ ফোন কলে পুতিন তাকে এ হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, “এটা করতে মাত্র এক মিনিট লাগবে।” জনসন জানান, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওই ‘অতি দীর্ঘ’ ফোন কলে তিনি পুতিনকে সতর্ক করে যুদ্ধটি ‘পুরোপুরি বিপর্যয়কর’ হবে বলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ওই মন্তব্য করেন। ওই ফোন কলে দু’জনের কথাবার্তার বিস্তারিত বিবিসির ‘পুতিন ভার্সাস দ্য তথ্যচিত্রে প্রকাশ পেয়েছে, এই তথ্যচিত্রে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে পুতিনের কথোপকথন নিয়ে অনুসন্ধান করা হয়েছে। জনসন পুতিনকে হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, ইউক্রেইনে আক্রমণ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সূচনা ঘটাবে এবং রাশিয়ার সীমান্তে আরও বেশি নেটো সেনা মোতায়েনের কারণ হবে। ‘অদূর ভবিষ্যতের জন্য’ ইউক্রেইন নেটোতে যোগ দেবে না, পুতিনকে এমন কথা বলে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর পদক্ষেপে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলেও দাবি করেছেন জনসন। জনসন বলেন, “এক পর্যায়ে তিনি আমাকে হুমকি দেন; বলেন, ‘বরিস, আমি তোমাকে আঘাত করতে চাই না, কিন্তু একটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে মাত্র এক মিনিট লাগবে’ বা ওইরকম কিছু। “তিনি যে শিথিল কণ্ঠে, ছাড়া ছাড়া ভাবে কথা বলছিলেন তাতে আমার মনে হয়েছিল তিনি শুধু আমার সমঝোতা করার প্রচেষ্টাকে নিয়ে খেলছেন।” ‘খুব অস্বাভাবিক ওই কলের’ সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন ‘খুব অন্তরঙ্গ’ ভঙ্গিতে কথা বলছিলেন বলে জনসন জানান। পুতিনের হুমকি আসল ছিল কিনা তা জানা অসম্ভব। কিন্তু যত হালকাভাবেই দেওয়া হোক না কেন পূর্ববর্তী কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে এ হুমকি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া ছাড়া জনসনের উপায় ছিল না। ২ ফেব্রুয়ারির ওই কথোপকথনের নয় দিন পর ১১ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্জেই শোইগুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যান। রাশিয়া ইউক্রেইন আক্রমণ করবে না, এমন আশ্বাস নিয়ে মস্কো ছাড়েন ওয়ালেস। কিন্তু এটি যে একটি মিথ্যা কথা, তা উভয়পক্ষই জানতো। এর পক্ষকালের মধ্যেই ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ট্যাংকগুলো সীমান্ত অতিক্রম করে ইউক্রেইনে প্রবেশ করে, মধ্যরাতে জনসন একটি ফোন কল রিসিভ করেন যেটি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। স্মৃতিচারণ করে জনসন বলেন, “জেলেনস্কি খুব শান্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি আমাকে বলেন, ‘আপনি জানেন, তারা সব জায়গায় আক্রমণ করছে।” জনসন জানান, তিনি জেলেনস্কিকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিলে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং কিইভেই থেকে যান।