প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেছেন এবং আইসিটি পণ্য ও সেবাকে ‘প্রডাক্ট অফ দ্য ইয়ার ২০২২’ ঘোষণা করেছেন।
প্রথমবারের মতো রাজধানীর উপকণ্ঠে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এ মেলা শুরু হয়েছে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা বার্ষিক এ মেলার উদ্বোধন করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) যৌথ আয়োজনে মেলার অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সভাপতিত্ব করেন।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মো. জসিম উদ্দিন ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ২২৫টি স্টলকে এবাররে মেলায় লিজ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২৩টি প্যাভিলিয়ান, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ান, ১৬০টি স্টল ও ১৫টি ফুড কোর্ট রয়েছে।
এছাড়া মেলায় প্রার্থনা কক্ষ, শিশুদের খেলার জায়গা, অফিস কক্ষ, চিকিৎসা কেন্দ্র, কর্মকর্তাদের জন্য অতিথি কক্ষ ও স্টোর রুম রয়েছে।
এর আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এ মেলা অনুষ্ঠিত হতো। তবে এ জায়গাটি দর্শনার্থী ও অংশগ্রহণকারীদের জন্য ছোট হয়ে যেত।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলায় প্রবেশ করা যাবে। তবে সরকারি ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলার স্টল খোলা থাকবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য মেলায় প্রবেশের টিকিট মূল্য ৪০ টাকা ও শিশুদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মেলায় যাওয়ার জন্য পরিবহন সুবিধা দিতে ৩০টি বিআরটিসির বাস প্রদান করেছে সরকার। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মেলা পর্যন্ত যাওয়া যাবে। সর্বনিম্ন ৩০ টাকা ভাড়া দিয়ে দর্শনার্থীরা মেলায় যেতে পারবেন।
১৯৯৫ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকা বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গত বছর করোনার কারণে মেলা হয়নি।
এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের কথা মাথায় রেখে মেলায় আয়োজন করা হয়েছে। ১১টি দেশের ব্যবসায়ীরা এবারের মেলায় অংশ নিয়েছেন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি