April 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, January 21st, 2022, 8:30 pm

পৃথিবী জয়ের স্বপ্ন পূরণ জারার

অনলাইন ডেস্ক :

বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সী নারী পাইলট হিসেবে পুরো পৃথিবী চক্কর দেওয়ার ইতিহাস গড়লেন ১৯ বছরের জারা রাদারফোর্ড। পাঁচ মাসে পাঁচটি মহাদেশ অতিক্রম করেন ব্রিটিশ-বেলজিয়ান এ তরুণী।জারা রাদারফোর্ডকে নিয়ে যখন বিমানটি বেলজিয়ামের কোর্টরিক ওয়েভেলগেম এয়ারপোর্টের রানওয়ে ছোঁয়ে যায়, তখন তাকে স্বাগত জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। করতালি এবং হর্ষধ্বনিতে তাকে স্বাগত জানানো হয়। হাত নাড়িয়ে তাদের এই উচ্ছ্বাসের জবাব দেন ব্রিটেন ও বেলজিয়ামের পতাকা জড়ানো জারা রাদারফোর্ড। আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন সদ্য কৈশোর পেরোনো এই তরুণী। গত বছরের আগস্ট মাসের ১৮ তারিখে একই এয়ারপোর্ট থেকে উড়তে শুরু করেছিলেন জারা। দীর্ঘ ৫ মাসে তিনি অতিক্রম করেন ৫২টি দেশ। পাড়ি দেন ৫১ হাজার কিলোমিটার পথ। জারা রাদারফোর্ডের আগে এই রেকর্ড ছিল আফগান আমেরিকান শায়েস্তা ওয়াইজের। ২০১৭ সালে ৩০ বছর বয়সে সবচেয়ে কমবয়সী নারী হিসেবে বিমান চালিয়ে পুরো পৃথিবী চক্কর দেয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন তিনি।পুরো পৃথিবী ঘিরে চক্করের শর্ত হিসেবে জারাকে বিশ্বের একদম বিপরীত দুই প্রান্ত ইন্দোনেশিয়ার জামবি এবং কলম্বিয়ার তুমাকো স্পর্শ করার শর্ত পালন করতে হয়। বেলজিয়ামের আকাশ সীমায় জারার বিমানকে অভিবাদন জানায় দেশটির এয়ারফোর্সের রেড ডেভিল এরোবেটিক ডিসপ্লে দল। রানওয়েতে নামার পর জারার হাতে তুলে দেয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সী নারী পাইলট হিসেবে পৃথিবী চক্কর দেয়ার স্বীকৃতি সনদ। এ সময় নিজের বিমানে দাঁড়িয়ে তার সার্টিফিকেট তুলে ধরেন উচ্ছ্বসিত জারা। জারা রাদারফোর্ড বলেন, এ অভিজ্ঞতা সত্যিই রোমাঞ্চকর। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর নিজের বাড়িতে ফিরে আসার বিষয়টি কল্পনা করতেই আমার চোখে পানি চলে এসেছে। আমার যাত্রা সহজ ছিল না। কিন্তু আমি খুবই আনন্দিত। আর এত মানুষকে আমি প্রত্যাশাই করিনি। এত শুভাকাঙ্খীকে এক সঙ্গে দেখতে পাওয়া, এটা খুবই আনন্দের।২০২০ সালে পাইলট হওয়ার লাইসেন্স হাতে পান জারা রাদারফোর্ড। ১৪ বছর বয়স থেকেই বাবার কাছে বিমান ওড়ানোয় হাতে খড়ি জারার। তার পিতামাতা দুইজনই পাইলট। পৃথিবী জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে জারার। এবার তার স্বপ্ন পৃথিবী অতিক্রমের। এ লক্ষ্যে নভোচারী হতে চান তিনি। আর এ স্বপ্ন পূরণের পথে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ব্রিটেনের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়তে চান জারা। বিশ্বের অন্যান্য নারীদের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও নভোচারী হওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেবে তার এ অর্জন, এটাই জারার প্রত্যাশা।