April 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, February 18th, 2022, 9:40 pm

পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেড়েছে, অপরিবর্তিত অন্যান্য পণ্য

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ ও ডিমের। এ ছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতিপিস ৪০ টাকা, পাতাকপি ৪০ টাকা, করলা প্রতিকেজি ৮০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিপিস ৪০ টাকা, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা ও মটরশুটি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। এসব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। নতুন আলু প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকা। পুরান আলু ১০ থেকে ১৫ টাকা। এ ছাড়া ৫ কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। এদিকে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫৫ টাকায়। ১১ নম্বর বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. কবির বলেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পেঁয়াজের আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে। আমদানি বাড়লে দাম কমবে। বাজারে চায়না রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। দেশি আদার কেজি ৬০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। এ ছাড়া লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মসুর ডাল। ইন্ডিয়ান মসুর ডালের কেজি ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান মসুর ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। এসব বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা। বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। এ ছাড়া প্যাকেট চিনি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা। আটা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা। বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। হাঁসের ডিমের দাম বেড়ে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা। এ ছাড়া সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. আশিক বলেন, আবারও বেড়েছে ডিমের দাম। ডিমের উৎপাদন ও আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে। বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা। এ ছাড়া লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৩০ টাকা কেজি দরে।