অনলাইন ডেস্ক :
পোশাক কারখানার শ্রমিকদের জন্য সর্বনিম্ন ১২ হাজার ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা বেতন নির্ধারণ করে নূন্যতম মজুরির খসড়া সুপারিশ প্রকাশ করেছে সরকার; যেখানে পাঁচটি গ্রেড রাখা হয়েছে।
অপরদিকে পোশাক কারখানার কর্মচারীদের চারটি গ্রেডে বেতন দেওয়ার সুপারিশ করেছে নিম্নতম মজুরি বোর্ড; যেখানে তারা সর্বনিম্ন ১২ হাজার ৮০০ এবং সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা বেতন পাবেন।
আগে শ্রমিকদের জন্য গ্রেড ছিল সাতটি যা কমিয়ে পাঁচটি করা হয়েছে। তবে কর্মচারীদের গ্রেড সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
ঢাকার নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লার স্বাক্ষরে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শনিবারের তারিখে এ গেজেট প্রকাশ করেছে।
প্রজ্ঞাপনে গ্রেড-৫ এর সহকারী অপারেটর বা হেলপারের বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে মূল বেতন ৬ হাজার ৭০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩ হাজার ৩৫০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা এক হাজার ২৫০ টাকা। একইভাবে গ্রেড-৪ এর সাধারণ অপারেটরদের বেতন ১৩ হাজার ২৫ টাকা, গ্রেড-৩ এর বেতন ১৩ হাজার ৫৫০ টাকা, গ্রেড-২ এর অপারেটরদের বেতন ১৪ হাজার ১৫০ টাকা এবং গ্রেড-১ এর অপারেটরদের বেতন ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে মজুরি সমন্বয়ের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, একজন শ্রমিক এক বছর শিল্পে কর্মরত থাকার পর তার বাৎসরিক মূল মজুরি হবে ৭ হাজার ৩৫ টাকা। পরবর্তীতে প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধি পারে। অর্থাৎ মূল মজুরি ৭ হাজার ৩৫ টাকার ৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়ে ৭ হাজার ৩৮৬ টাকা নির্ধারিত হবে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি