April 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, December 21st, 2022, 8:44 pm

প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

রাজধানীর শাহবাগে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভরত সনদধারী শিক্ষকদের লাঠিচার্জ করে রাস্তা থেকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। ছবিটি বুধবার তোলা।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-এনিটিআরসিএ নিবন্ধিত সনদধারীরা প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে শাহবাগ মোড়ের একাংশ অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছে। এতে রাস্তায় যানচলাচলে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। তবে সীমিত পরিসরে গাড়ি চলছে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সনদধারীরা শাহবাগ বারডেম হাসপাতালের সামনে রাস্তায় অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তারা না উঠলে পুলিশ কয়েকজনের ওপর হামলা করে বলে সনদধারীরা অভিযোগ করেন। এর আগে গত ৫ জুন থেকে প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে শাহবাগ জাতীয় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সামনে গণ-অনশন শুরু করে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) তাদের অনশনের ২০০ তম দিন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা এ অনশন করে থাকেন। আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-এক আবেদনে সব নিবন্ধনধারী চাকরি প্রত্যাশীদের প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে, সব নিবন্ধনধারীদের স্ব স্ব নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে এবং ইনডেক্সধারীদের গণবিজ্ঞপ্তির অন্তর্ভুক্ত না করে আলাদা বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।

রাজধানীর শাহবাগে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভরত সনদধারী শিক্ষকদের লাঠিচার্জ করে রাস্তা থেকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। ছবিটি বুধবার তোলা।

সড়কে অবস্থান নিয়ে তারা ‘সনদ যার, চাকরি তার’, ‘প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ চাই’, ‘প্যানেল নিয়ে দূর্নীতি, মানি না, মানবো না’, ‘গণবিজ্ঞপ্তির নামে প্রহসন, মানি না মানবো না’ ইত্যাদি বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এনটিআরিসএ ২য় নিবন্ধনধারী কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে শাহবাগে সনদধারীদের চাকরি দাবিতে গণঅনশন করে আসছি। কিন্তু আমাদের দাবিকে তোয়াক্কা না করে আবারও গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি প্রথম প্যানেল থেকে ক্রমানুসারে সবাইকে চাকরি দিতে হবে। এর আগে গণবিজ্ঞপ্তির নামে কোনো প্রহসন আমরা মেনে নেবো না। চাকরি প্রত্যাশী আরেক নারী বলেন, চাকরির আশায় একেক প্রার্থী গড়ে ১০০ আবেদন করেছেন। কিন্তু অনেকে নিয়োগ পাননি। এখনো বহু শিক্ষক পদ শূন্য আছে। সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার প্যানেল করে শিক্ষক নিয়োগের বিকল্প নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৮৫ হাজার পদ এখনো খালি আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।