November 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, September 15th, 2021, 8:20 pm

প্রকাশ্যে এলো আফগান প্রেসিডেন্ট প্যালেসের চরম দ্বন্দ্ব

Taliban fighters take control of Afghan presidential palace after the Afghan President Ashraf Ghani fled the country, in Kabul, Afghanistan, Sunday, Aug. 15, 2021. (AP Photo/Zabi Karimi)

অনলাইন ডেস্ক :

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল গত ১৫ আগস্ট দখলে নেওয়ার তিন সপ্তাহ পর সম্প্রতি নতুন সরকার ঘোষণা করে তালেবান। এখনো দায়িত্বপ্রাপ্তরা শপথ না নিলেও কাজে নেমে পড়েছেন। এর মাঝেই নতুন সরকারের গঠন নিয়ে গোষ্ঠীর নেতাদের মধ্যে চরম কোন্দল হওয়ার খবর প্রকাশ পেলো। দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এ ঘটনা ঘটে। তালেবানের বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে এ তথ্য। মূলত নতুন সরকারের পদ-পদবি নিয়ে সংগঠনটির সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গানি বারাদার ও মন্ত্রিসভার এক সদস্যের মধ্যে এ দ্বন্দ্ব হয়। যদিও তালেবানের পক্ষ থেকে এ ঘটনা প্রকাশ করা হয়নি। তালেবানের দুই শীর্ষ নেতাকে কয়েক দিন ধরে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। তারা হলেন সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং নতুন সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আবদুল গানি বারাদার। তাদের অবস্থান নিয়ে এখন অনেকে সন্দিহান। যদিও তালেবান মুখপাত্র সোহেল শাহীন এক টুইটে জানান, তাদের রাজনৈতিক দপ্তরের সাবেক প্রধান মোল্লা বারাদারের মৃত্যুর খবর পুরোপুরি ভুয়া ও ভিত্তিহীন। গত দুই দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়া গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা এবং শুধু পুরুষদের নিয়ে গঠিত হয়েছে নতুন ইসলামিক আমিরাতের কেবিনেট। তালেবানের একটি সূত্র বলছে, প্রেসিডেন্ট প্যালেসে বারাদারের সঙ্গে হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রভাবশালী নেতা খলিল উর-রহমান হাক্কানির বাকবিত-া হয়। খলিল তালেবান সরকারের শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রী। কাতারে অবস্থানরত তালেবানের এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে এ ঘটনা ঘটে। বারাদার ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের ক্ষমতার লড়াইয়ের প্রেক্ষাপটে আখুন্দকে তালেবান সরকারের প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়টিকে একটি সমঝোতার বিষয় বলে জানা যাচ্ছে। তালেবানের বিভিন্ন সূত্র বলছে, দ্বন্দ্বের অন্যতম কারণ হলো, সরকারের কাঠামো নিয়ে বারাদার অসন্তুষ্ট। এ ছাড়া তালেবানের আবার ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পেছনে কার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি, সেটা নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বারাদার মনে করেন, তার মতো ব্যক্তিরা, যারা কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছিলেন, তাদের কারণেই তালেবানের ‘জয়’ হয়েছে। অন্যদিকে, হাক্কানি নেটওয়ার্কের সদস্যরা মনে করেন, যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াইয়ের মাধ্যমে তালেবানের জয় নিশ্চিত হয়। ২০২০ সালে তালেবান নেতা বারাদারই সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন। এর আগে, তালেবানের পক্ষ থেকে দোহা চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেন তিনি।