কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে তিনি কেরাণীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, আমরা বিকাল ৪টার দিকে জামিনের আদেশ পাই এবং সন্ধ্যায় তিনি কারাগার থেকে বের হন। শামসুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা তাকে জেল গেট থেকে অভ্যর্থনা জানান।
এরআগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় শামসুজ্জামানকে জামিন দেন ঢাকার একটি আদালত।
অন্যদিকে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর ২০ হাজার টাকার মুচলেকায় এই জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ৩০ মার্চ ঢাকার একটি আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। পরে তার জামিন চেয়ে আরেকটি আবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ ওই প্রতিবেদকে কেরাণীগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে গত ১ এপ্রিল কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে ফের কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ২৯ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে সাদা পোশাকের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা শামসকে তুলে নিয়ে যায়। একই দিন প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন’ প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন যুবলীগ নেতা।
২৯শে মার্চ আব্দুল মালেক (মশিউর মালেক) নামে একজন আইনজীবী প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, একজন সহকারী ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করার অভিযোগে একটি এফআইআর করেন।
এফআইআর-এ আইনজীবী আরও উল্লেখ করেছেন যে অভিযুক্তরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছিল।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রবিবার প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম