September 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, July 21st, 2023, 8:05 pm

প্রথম গানেই চমকে দিলেন সজল-প্রীতি

অনলাইন ডেস্ক :

অভিনেত্রী ও নাট্যপরিচালক হৃদি হক প্রথমবারের মতো বানিয়েছেন সিনেমা। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ নামের সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ১৮ আগস্ট। সিনেমার প্রচারের অংশ হিসেবে গত সন্ধ্যায় মুক্তি দেওয়া হলো প্রথম গান। আর প্রথম গানেই শ্রোতাদের মন জয় করে নিলেন হৃদি হক। সামাজিক মাধ্যমে চলছে গানের বন্দনা। ‘যাচ্ছো কোথায়, কিছু না বলে, মন লুকিয়ে আর কি চলে!’ এমন কথামালার গানটি লিখেছেন হৃদি হক নিজেই। কণ্ঠ দিয়েছেন কামরুজ্জামান রনি এবং ইসরাত আন্নি। গানের সঙ্গে আবদুন নূর সজল এবং সানজিদা প্রীতি নিজেদের প্রকাশ করলেন সত্তরের দশকের এক যুগল হিসেবে। গানে চিত্রিত হয়েছে সত্তরের দশকের গোঁড়ার দিকের এক বসন্তের সকাল।

বাতাসে কান পাতলেই যেন বুক উছলে ওঠা প্রেম, অন্তত সজল ও প্রীতির চোখ-মুখ তাই বলে যাচ্ছে। রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কতক বাসন্তী ফুল। আর বাসন্তী শাড়িতে প্রীতি। আর আশপাশে জুটে যাচ্ছে যেসব বন্ধু, তাদের জুলফি থেকে পরিচ্ছদ কোথাও অনুমান করার উপায় নেই সময়টা সত্তরের দশক নয়। গানে পুরো প্রণয় আবহ তৈরি হয়েছে, সবাই সেটাই দেখছে। অথচ ব্যাকগ্রাউন্ডে খুব জোরালোভাবে জানান দিচ্ছে, জন্ম নিতে যাওয়া একটি দেশের কথা। অন্তত দেয়ালের লিখন তাই বলছে। সামাজিক মাধ্যমে গানটি শেয়ার দিয়ে নিজেদের মুগ্ধতার কথা, চোখে আরাম দিয়ে যাওয়ার কথা আনায়াসেই বলে যাচ্ছেন নেটিজেনরা। কেন এই মুগ্ধতা? নেটিজেনরা সোশ্যাল সাইটে কী বলছে শুনি।

দিশা লিখেছেন, ‘গানটার কথা, সুর, গায়কী, ভিডিওর কাজ, সিনেমাটোগ্রাফি, প্লেস সবগুলো মিলে এত চমৎকার একটা কাজ হয়েছে যে ভিডিওটা দেখার পর থেকে মনে সুন্দর একটা অনুভূতির রেশ রয়ে গেছে, গানটাও গুনগুন করতে শুরু করেছি।’ রহমান মতি লিখেছেন, ‘স্নিগ্ধ, সুন্দর, স্বাভাবিক ভালো লাগা ফুটিয়ে তোলার গান। কোনো আতিশয্য ছাড়াই যখন রোমান্টিক বিষয়গুলো স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায় গানে সেটি সহজে মন স্পর্শ করে।

মুক্তিযুদ্ধের নতুন ছবি ‘১৯৭১ : সেইসব দিন’ ছবির গান। সজলের পোশাকের সঙ্গে সরল একটি ছেলের আবহ ফুটে উঠেছে, অন্যদিকে সানজিদা প্রীতিকে শাড়িতে বাঙালি নারীর সৌন্দর্যে পাওয়া যাচ্ছে। তার অভিনয় একেবারে ন্যাচারাল। খুব কম কাজ করে কিন্তু মানসম্মত করে এটাই তার বড় গুণ। গানে শিল্পীদের গায়কীতেও স্বাভাবিকতা ছিল। খুব সহজ সুরে সুন্দরভাবে তারা গেয়ে যাচ্ছিল। গানটি দেখে যা মনে হলো, চলচ্চিত্রে হৃদি হক-কে একজন মানসম্মত নির্মাতা হিসেবেই পেতে যাচ্ছি আমরা।’

মিঠুন নামের একজন লিখেছেন, ‘আজকে এই গানটা যখন স্ক্রল করতে করতে চোখের সামনে এলো। বুঝলাম আমরা এত দিনে এমন অদ্ভুত সুন্দর গান শোনা কিংবা চর্চা করা থেকে অনেক দূরে সরে গেছি। সেদিনও বলছিলাম কেন জানি আজকাল গানগুলো আগের মতো হয় না। সেটা হিন্দি হোক আর বাংলা গান হোক। খুব কম গানই খুঁজে পাই, যা এমন অনুভূতির জন্ম দেয় হৃদ অলিন্দে। বাংলা সিনেমায় এমন গান হোক। আমরা গান নিয়েও কথা বলতে চাই।’ সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মুনমুন আহমেদ, শিল্পী সরকার অপু, ফেরদৌস, তারিন জাহান, লিটু আনাম, আবদুন নূর সজল, সাজু খাদেম, সানজিদা আনোয়ারসহ অনেকে।