আগামী ২২-২৪ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে প্রথম জাতিসংঘ পানি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবররীন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, নেদারল্যান্ডস ও তাজিকিস্তান-এর যৌথ সভাপতিত্বে ‘ইউএন ২০২৩ ওয়াটার কনফারেন্স’- অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
১৯৭৭ সালের পর ৫০ বছরে পানি বিষয়ে এটিই প্রথম জাতিসংঘ সম্মেলন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.আব্দুল মোমেন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীসহ একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল যোগ দেবেন।
তিনি আরও বলেন, সম্মেলনে ‘ওয়াটার অ্যাকশন ডিকেড (২০১৮-২০২৮)’-এর বাস্তবায়ন অগ্রগতির সমন্বিত পর্যালোচনা করা হবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে সম্মত পানি-সংক্রান্ত বিভিন্ন লক্ষ্য ও কার্যক্রমগুলোকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করে তোলা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সেহেলী সাবররীন বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল পানি বিষয়ক টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ৬ এর আওতাধীন বিষয়গুলোতে দেশের অগ্রগতি এবং এ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পানির ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
এক্ষেত্রে জলবায়ু পরবির্তনের ফলে পানি বিষয়ক অভিযোজনে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতাসমূহ যেমন-ভাসমান ফসল চাষ পদ্ধতি এবং জলমগ্নতা, খরা, লবণাক্ততা ও জলবায়ু সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবনসহ বিভিন্ন স্থানীয় পদ্ধতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরা হবে।
এছাড়াও, অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে পানির যথাযথ মূল্যায়নের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার কারিগরি পর্যায়ে যে কাজ করেছে সে বিষয়েও অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হবে। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পানিসম্পদ সহযোগিতার ক্ষেত্রে অববাহিকাভিত্তিক ব্যবস্থাপনার যেসব বিষয়ে বাংলাদেশ গুরুত্বারোপ করেছে সেসব বিষয়ে প্রতিবেশী দেশসমূহ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
এক্ষেত্রে সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনাকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, শান্তি ও নিরাপত্তার অন্যতম নিয়ামক হিসেবে তুলে ধরা হবে। ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’- এর আওতায় অ্যাডাপ্টিভ ডেল্টা ম্যানেজমেন্ট-এর ক্ষেত্রে যেসব স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে সে বিষয়েও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত করা হবে।
সর্বোপরি, ২০১৬-১৭ সালে জাতিসংঘের মহাসচিবের হাই লেভেল প্যঅনেল অন ওয়াটার-এর সরকার প্রধানদের অন্যতম হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা, তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার মাধ্যমে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকলের কাছে তুলে ধরা হবে।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র