নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাদকদ্রব্যসহ গ্রেপ্তার প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে অর্থ পাচার মামলায় জামিন দেননি হাইকোর্ট। সোমবার (২৯ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে রাশেদুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এরপর রাতে তার সহযোগী রাজের বনানীর বাসায়ও অভিযান চালানো হয়। অভিযানে রাজের দুই সহযোগীসহ তিনজন আটক হন। এ সময় তার বাসা থেকে সাতটি গ্ল্যানলিভেট, দুটি গ্ল্যানফিডিচ, চারটি ফক্স গ্রোভ, একটি প্লাটিনাম লেভেল, এক প্যাকেট সিসায় ব্যবহৃত চারকোল, দুই সেট সিসার সরঞ্জাম, দুই ধরনের সিসা তামাক ফ্লেভারযুক্ত, এক রোল সিসা সেবনের জন্য ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, ৯৭০ পিস ইয়াবা, বিকৃত যৌনাচারের জন্য ব্যবহৃত ১৪টি বিভিন্ন সামগ্রী, একটি সাউন্ড বক্স, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি মেমোরি কার্ড উদ্ধার করা হয়। পরে সিআইডি গত ২৯ সেপ্টেম্বর বনানী থানায় তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা করে। একটি ব্যাংকের বনানী শাখায় নজরুল ইসলাম রাজের হিসাবে ১৮ কোটি সাত লাখ ২১ হাজর ৩৫০ টাকা জমা হয়। এর মধ্যে ছয়টি জমা চেকের মাধ্যমে করা হলেও অবশিষ্ট টাকা নগদ জমা করা হয়। তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকে একাধিক হিসাবের তথ্য পাওয়া যায়। এসব হিসাব পর্যালোচনায় দেখা যায়, হিসাবে ব্যাপক লেনদেন হয়েছে যা মাদক ব্যবসা থেকে আয় বলে প্রতীয়মান হয়। ব্যবসার নাম দিয়ে ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত আড়াই কোটি টাকা মূল্যমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রূপান্তর করেন তিনি। এসব অভিযোগ এনে সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক গত ২৯ সেপ্টেম্বর বনানী থানায় এ মামলা করে। এ মামলায় গত ১৬ নভেম্বর ঢাকার মহানগর বিশেষ জজ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ