November 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, February 6th, 2022, 1:39 pm

ফরিদপুরে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে তিন শতাধিক পরিবার

পানি নিষ্কাশনের জায়গা দখলের অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতায় ভুগছে ফরিদপুর শহরতলী সিএন্ডবি ঘাট সংলগ্ন আইজউদ্দিন মাতুব্বরের ডাগি গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার। জলাবদ্ধতার ফলে জমে থাকায় পানিতে পরিবেশ নোংরা এবং নানা রোগের উপদ্রব বাড়ছে।

সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পার্শ্ববর্তী পদ্মা নদী থেকে বেশ কয়েকজন বালু ব্যবসায়ী ট্রলার বা জাহাজ থেকে তুলে সিএন্ডবি ঘাট পদ্মা পাড়ের (আইজমুদ্দিন মাতুব্বরের) এলাকায় জড়ো করে। আর এই বালু থেকে বের হওয়া পানি এলাকাতে ছড়িয়ে পড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। এছাড়াও বর্ষা ও বৃষ্টির পানিতেও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়। এই অবস্থা গত চার বছরের বেশি সময় ধরে চলছে। সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচলের কাজ চারিয়ে নিচ্ছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পানি নিষ্কাশনের যে পথ ছিল সেগুলো নানাভাবে দখল হয়েছে, এছাড়াও ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী ও অর্থবৃত্তের মালিক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়টি অনেকবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে দ্রুত এই জলবন্ধতা নিরসন করা হবে।

পানিবন্দি এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম, আসমা বেগমসহ অনেকে জানান, এই গ্রামে পাশে যে মাঠ সেখানে ধানসহ বিভিন্ন ফসল হতো, কিন্তু গত চার বছর হলো সারাবছর পানি জমে থাকে। সেখানে কোনে খেতখামার করা যায় না, এছাড়াও প্রত্যেকটি বাড়ি চার পাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া পরিবেশটি বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে গেছে। এখানকার ছেলে-মেয়েরা সব সময় বিভিন্ন রোগে ভুগছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য পাঞ্জু শেখ বলেন, বালুর ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ বহু আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশনের পথগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয় না। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে চলা জলাবদ্ধতা সমস্যারও সমাধান হয় না।

তিনি জানান, বর্ষার সময়ে পানি গোটা এলাকায় নিমজ্জিত হলে সেই পানি বের হওয়ার তেমন কোনো পথ থাকে না ফলে জলাবদ্ধতার সমস্যাও প্রকট হয়।

স্থানীয় মাদরাসার শিক্ষক মাওলনা নাজমুল হাসান বলেন, ‘এই জলাবদ্ধতায় আমরা বাস করতে পারছি না, শিশুসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিপদে রয়েছি। গৃহপালিত পশু পালন করা যাচ্ছে না।’

ডিক্রীরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা উন্নয়ন সভায় তুলা হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরশন করা হবে।

ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকতা মাসুদুল আলম বলেন, ‘জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। নানাবিধ সমস্যার কারণে বর্ষা বা বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে যেতে পারছে না। তাছাড়া আমাদের পানি নিষ্কাশনের পথগুলো অত্যন্ত নাজুক। আমরা দ্রুতই এই জলাবদ্ধাতার সমাধানের চেষ্টা করবো।’

—ইউএনবি