জেলা প্রতিনিধি :
ভারী বৃষ্টি আর উজানের ঢলে ফরিদপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে নদ-নদীর পানি। পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি স্থানে নদীর পাড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি ১৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বর্তমানে গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মার পানি ৮.৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তিনটি ইউনিয়নের নয়টি গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবার। ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে পাঁচটি উপজেলার কয়েকটি স্থানে নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে প্রাথমিকভাবে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। পানিবন্দি গ্রামগুলো হলোÑফরিদপুর সদরের কাইমুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী, বরান বিশ্বাসের ডাঙ্গী, বাসের মোল্লার ডাঙ্গী, শুকুর আলী মাতুব্বরের ডাঙ্গী, আয়জদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী, চর বালুধুম, বাঘের টিলা, লালার গ্রাম ও নর্থ চ্যানেল। এলাকাবাসী জানায়, গোলডাডাঙ্গী সড়কের জামাল সিকদারের বাড়ির কাছে ১০২ মিটার, জাফর প্রামাণিকের বাড়ির সামনে ৫৫ মিটার, জলিল শেখের বাড়ির সামনে ১৪৮ মিটার এবং নিকলী হাওর এলাকার অন্তত ৫০৫ মিটারসহ সড়কের ৮০০ মিটার অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। সদর উপজেলার গোলডাঙ্গী এলাকার নাছিমা বেগম, আসমা বেগম ও বিল্লাস সেখ জানান, ৫-৬ দিন ধরে বানের পানি নেমে আসছে। বাড়ির আশপাশে পানি চলে এসেছে। মাঠের ধানসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। একই উপজেলার ডিগ্রিরচর ইউনিয়নের বেশিরভাগই চরাঞ্চল। স্বাভাবিকভাবেই পানি বাড়ায় চরের মাঠ-ঘাট তলিয়ে গেছে। আউশ ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে বলে এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। ফরিদপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজা বলেন, বন্যা পরিস্থিতি খুব বেশি অবনতি হয়নি। পানিবন্দি এলাকাগুলোর মানুষদের সচেতনতায় প্রচারণা চালানো হয়েছে। তাদের শুকনো খাবার ও আশ্রয়ের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, পানি বৃদ্ধির বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। খোঁজ-খবর রাখতে বিভিন্ন উপজেলার ইউএনও, উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি