ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের তেতুলতলা দিকনগর এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত পপি বেগম নামের এক নারী মারা গেছেন। দুর্ঘটনার দিনই মারা যান তার স্বামী ইকবাল।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পপি বেগম (২৫) মারা যান। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ১৫ জন।
পপির বাড়ি আলফাডাঙ্গা উপজেলার হিদাডাঙ্গা এলাকায়। ইকবাল ও পপির ১৮ মাস বয়সী সন্তান রয়েছে। দুর্ঘটনার দিন থেকে তাদের সন্তান ইয়াসিন আহত অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় নিহত ইকবাল হোসেনের বড় ভাই এনামুল শেখ বাদী হয়ে যাত্রীবাহী বাসের চালককে আসামি করে করিমপুর হাইওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত) মো. আলী সিদ্দিকীকে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান বলেন, মঙ্গলবার দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত পপি বেগম ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। তার লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পপি বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেন মঙ্গলবার দুর্ঘটনায় মারা যান। নিহত ইকবাল হোসেনের বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি