November 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, December 19th, 2021, 1:21 pm

ফরিদপুরে হাইওয়ে থানায় হামলা: ৭ আসামি কারাগারে

ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানায় হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শুক্রবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাত যুবককে আটক করেছে কোতয়ালি থানা পুলিশ। শনিবার বিকালে তাদের ফরিদপুরের আমলী আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তারা হলেন, সজীব বেপারী (২২), রাফি মোল্যা (১৮), পারভেজ (২১), আকাশ শেখ (২২), সোহেল (১৮), রাকিব মাতুব্বর (২০) ও সাজ্জাদ (২৫)। তাদের সবার বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে থানায় হামলার ঘটনায় জড়িতদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা।

তিনি জানান, গত ১২ ডিসেম্বর রাতে ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকায় নির্মাণাধীন আমজাদ সরদারের জুট মিল মাঠ এলাকায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে স্থানীয়রা। ওই মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে আবু ত্বহা ওয়াজ করবেন বলে মাইকিং করা হয়। মাইকিং শুনে কোতয়ালি থানার অফিসার আয়োজকদের আবু ত্বহাকে মাহফিলে না আনার জন্য অনুরোধ করে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়ে বলে জানানো হয়।

পুলিশ সুপার জানান, রবিবার রাতে বিভিন্ন বক্তাদের দিয়ে ওয়াজ মাহফিল শুরু হয়। এক পর্যায়ে মঞ্চ থেকে বলা হয় আবু ত্বহাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আসতে দেয় নাই, এমন কথা শোনার পর উপস্থিত জনতা ও স্থানীয়রা লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র, লোহার রড নিয়ে হাইওয়ে থানায় হামলা চালায়। এবং থানার বিভিন্ন মালামাল, অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে। হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।

এই ঘটনার পরদিন ওই হাইওয়ে থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন শাহ ও থানার ভবনের মালিক নান্নু শেখ বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, মামলা দায়েরের পর কোতয়ালি থানার পুলিশ সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের আটকে অভিযান চালাতে থাকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক সবাইকে হামলার ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। এছাড়া অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

—ইউএনবি