অনলাইন ডেস্ক :
ব্যবধান ধরে রাখতে শেষের দিকে ঘাম ছুটে গিয়েছিল পিএসজির। তবুও হয়তো কাজ হতো না, যদি স্পট কিকে জালের দেখা পেতেন ইসলাম স্লিমানি। সেটি হয়নি বলেই জয়ের হাসিতে মাঠ ছাড়ে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা, ফেরে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। ম্যাচে এত ভোগান্তির জন্য ফরোয়ার্ডদের দুষলেন ক্রিস্তফ গালতিয়ের। পিএসজি কোচ মনে করেন, সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচ এত কঠিন হতোই না। নিজেদের মাঠে শনিবার লিগ ওয়ানের ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে পিএসজি। ৭ ম্যাচে ৬ জয় ও এক ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ১৯। গোল পার্থক্যে পিছিয়ে দুই নম্বরে আছে মার্সেই। ২৯তম মিনিটে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন নেইমার। এর আগে-পরে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা, লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপে। এর মধ্যে মেসির একটি হেড পোস্টে লেগে। ম্যাচ শেষে ফরোয়ার্ডদের সুযোগ হাতছাড়া করা নিয়ে হতাশা ঝরে গালতিয়ের কণ্ঠে। “এটা এমন একটা ম্যাচ, যেখানে ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের দুই অর্ধ। প্রথমার্ধে আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করি এবং যোগ্য হিসেবেই প্রথম গোলটা করি।” “আমাদের অবশ্যই আরও গোল করা উচিত ছিল, কিন্তু করতে পারিনি। আর এই কারণেই আমি আক্রমণ ত্রয়ীকে নিয়ে ম্যাচ চালিয়ে যাই। যেন ওরা ব্রেস্তকে সমস্যায় ফেলতে পারে। যদি প্রথমার্ধে বড় লিড নিতে পারতাম, ম্যাচ আরও সহজ হতো।” ব্যবধান যখন কেবল এক গোলের, তখন প্রতিপক্ষের সব সময়ই ম্যাচে ফেরার আশা থাকে। গালতিয়ে মনে করেন, এই আশাটাই শেষ দিকে ভয়ঙ্কর করে তুলেছিল ব্রেস্তকে। “বড় ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারিনি আর তাই দ্বিতীয়ার্ধ অনেক বেশি কঠিন ছিল।ৃ আমরা আক্রমণভাগে, মিডফিল্ডে এবং রক্ষণে টেকনিক্যাল ভুল করেছি। এটা ব্রেস্তকে অনেক বেশি আশা জাগিয়েছেৃ প্যারিসে যখন কোনো দল ¯্রফে এক গোলে পিছিয়ে থাকে, তখন তারা ম্যাচে ফেরার কথা বিশ্বাস করে।” তিন পয়েন্ট পাওয়ার পেছনে নেইমারের গোলের চেয়ে কোনো অংশে অবদান কম নয় দোন্নারুম্মার। ৭০তম মিনিটে স্লিমানির স্পট কিক ব্যর্থ করে দেওয়ার পর দারুণ দুটি সেভও করেন ইটালিয়ান এই গোলরক্ষক। যার ফাউলে ব্রেস্ত পেনাল্টি পেয়েছিল সেই প্রেসনেল কিম্পেম্বে ম্যাচের শেষ দিকে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। এর আগেই সব বদলি খেলোয়াড় ব্যবহার করে ফেলায় বাকিটা সময় ১০ জনকে নিয়েই খেলতে হয় পিএসজির। তবে দুই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সের্হিও রামোস ও মার্কিনিয়োস এর প্রভাব দলের উপর পড়তে দেননি। ম্যাচ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় দোন্নারুম্মা স্বীকার করেন, ব্যবধান ধরে রাখতে ঘাম ছুটে গিয়েছিল তাদের। “ম্যাচটা খুব কঠিন ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচের পর এই জয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা ভক্তদের জন্যও খুশি। তারা সব সময়ই আমাদের সমর্থন দেয় আর আমরা এই ম্যাচ তাদের জন্য জিততে চেয়েছিলাম। চাপের সময় এক সঙ্গে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আজকে আমরা দেখিয়েছি।” ইউভেন্তুসের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ২-১ গোলে জেতে ইউভেন্তুস। আগামী বুধবার ইউরোপ সেরার মঞ্চে তারা ম্যাকাবি খাইফার মুখোমুখি হবে।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা