অনলাইন ডেস্ক :
উঠেছে বড় অভিযোগ, চাওয়া হয়েছে কারাদ-; এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজেকে শান্ত রাখছেন কার্লো আনচেলত্তি। রেয়াল মাদ্রিদের কোচ বলেছেন, এসবের কিছুই স্পর্শ করছে না তাকে। তিনি আশাবাদী, শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে সব সমস্যা। এক দশক আগে রেয়ালে প্রথম দফায় কোচ থাকার সময় আনচেলত্তি কর ফাঁকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্পেনের কর কার্যালয় বুধবার বিবৃতিতে বলেছে, ২০১৪ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ইমেজ-স্বত্ব বাবদ ১০ লাখ ইউরোর বেশি আয়ের ওপর কর ফাঁকি দেন ইতালিয়ান এই কোচ। আয়কর বিবরণী জমা দেওয়ার সময় ইমেজ-স্বত্বের আয় বাদ দিয়েছিলেন তিনি, যা স্থানান্তর করেছিলেন অন্য প্রতিষ্ঠানে। এর শাস্তি হিসেবে রেয়াল কোচের ৪ বছর ৯ মাস কারাদন্ড চেয়েছেন স্পেনের সরকারি কৌঁসুলিরা।
এদিনই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে লাইপজিগের মুখোমুখি হয় রেয়াল। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলে জিতে ইউরোপ সেরার মঞ্চে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠে তারা। ম্যাচ শেষে কর ফাঁকির অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় আনচেলত্তিকে। রেয়ালের কোচ বলেন, এসব তার ওপর কোনো প্রভাব ফেলছে না। “এটা পুরোনো কাহিনী। আর এটা আমাকে প্রভাবিত করছে না। আশা করি, শিগগিরই এর সমাধান হবে। এটা নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই এবং আমি এ ব্যাপারে শান্ত আছি।
আমার একটাই সমস্যা, দলকে আরও ভালো পারফর্ম করতে হবে।” ২০১৩ সালের গ্রীষ্মে প্রথম দফায় রেয়ালের কোচের দায়িত্ব নেন আনচেলত্তি। ২০১৫ সালের মে মাসে বরখাস্ত করা হয় তাকে। চেলসি ও এসি মিলানের সাবেক এই কোচ আবার মাদ্রিদে ফেরেন ২০২১ সালের জুনে। সম্প্রতি ইউরোপের সফলতম ক্লাবটির সঙ্গে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়ান তিনি। স্পেনে গত এক দশকে কর ফাঁকির অভিযোগে বেশ কিছু খেলোয়াড় ও কোচের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে দেশটির কর কর্তৃপক্ষ। বার্সেলোনা ও রেয়ালের তারকা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকেও কর ফাঁকির জন্য পেতে হয়েছিল শাস্তি।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা