অনলাইন ডেস্ক :
মলে হাঁটা এখন সৌদি আরবের সর্বশেষ ফিটনেস প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো মলে গেলেই দেখা যায়, লোকেরা লম্বা লম্বা পদক্ষেপে হেঁটে বেড়াচ্ছে। যখন আবহাওয়া উষ্ণ থাকে, তখন মলে হাঁটা বৃদ্ধি পায়। এতে অস্বস্তি কমে। একইসাথে ক্যালোরি বার্ন করার সময়ও বিক্রয়ের দিকে নজর রাখা যায়। হাঁটাহাঁটিকে মৌলিক ও উপকারী ব্যায়াম ধরা হয়। ধাপে ধাপে সময় মেপে হাঁটাহাঁটি ফিটনেস অর্জনের দারুণ কৌশল। তাই অনেক পুরুষ ও নারী মলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করে থাকেন। রিয়াদের ৪০ বছর বয়সী সৌদি নাগরিক মানাল আলানাজি আরব নিউজকে বলেছেন, ‘আমি রাতে হাঁটতে পছন্দ করি। মলের চারপাশে হাঁটা আমার সেরা জিম-বিকল্প। কারণ, আমি আমার বাড়ির আশপাশে হাঁটার চেয়ে সেখানে অধিক নিরাপদ বোধ করি। প্রতিটি গেটে ও মলের চারপাশে একজন করে নিরাপত্তা প্রহরী থাকে।’
রিয়াদের আল-নাখিল মলের নিরাপত্তা প্রহরী আহমেদ সাঈদ বলেন, মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মলে হাঁটার সংখ্যা বেশি। তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘ দিন প্রহরী ছিলাম। তাই বলতে পারি, কখন লোকেরা কেনাকাটা করতে আসে। আর কখন আসে ব্যায়াম করতে। তিনি দাবি করেন, বিশেষ করে রমজান মাসে মলে হাঁটা জনপ্রিয়। এর এক কারণ তো ঈদের কেনাকাটা। বেশিরভাগ কারণ হলো ঈদের আগে মানুষ তাদের ওজন ঠিক রাখতে বা ওজন কমানোর চেষ্টা করে।’ সৌদি আরবজুড়ে মলের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে মল ওয়াকারদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের ৫৮ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী সাঈদ আবদুল্লাহ বলেছেন, প্রতিটি মল ব্যায়াম করার জন্য উপযুক্ত নয়। তিনি বলেন, ‘আমি দাম্মামে থাকি। যদিও এখানে বেশ কয়েকটি মল আছে, আমি আমার প্রতি দিনের হাঁটার জন্য শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট মলে যাই।
কারণ, এটি একটি ইনডোর রানিং ট্র্যাকের মতো করে গঠন করা হয়েছে।’ মলে হাঁটা বিশেষত বয়স্ক নাগরিকদের জন্য উপযুক্ত, যারা ভিড়ের জিমে যেতে চান না এবং যাদের জন্য অনেক খেলাধুলা এখন শারীরিক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। রিয়াদের একটি জিমের ফিটনেস প্রশিক্ষক ফাতমাহ আলোমার বলেন, ‘আমরা প্রবীণ নাগরিকদের খুব কমই দেখি। আমাদের জিমের সদস্যদের বেশিরভাগই অল্পবয়সী মেয়ে ও মধ্যবয়সী নারী। অ্যালোমার আরো বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা প্রবীণ নাগরিকদের আকৃষ্ট করতে আমাদের জিমে একটি ইনডোর রানিং ট্র্যাক যুক্ত করেছি। হাঁটুর ব্যথায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের সাহায্য করার জন্য এক সেট মেশিনও রেখেছি। মল-হাঁটার প্রবণতা প্রমাণ করে যে শহরের লোকজন শারীরিক সুস্থতার জন্য সৃজনশীল উপায়ের সন্ধান পেয়েছে।
স্পোর্টস বুলেভার্ড। রিয়াদে তৈরি করা মেগাপ্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি। এটি শহরের বাসিন্দাদের জন্য আরো অ্যাক্সেসযোগ্য হাঁটার জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক স্থান তৈরি করবে। স্পোর্টস বুলেভার্ডের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা আহমেদ বিন আসকার বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম লিনিয়ার পার্ক হতে নির্ধারিত, স্পোর্টস বুলেভার্ডে ‘রিয়াদের প্রত্যেকের শারীরিক ও সামাজিক স্বাস্থ্যের প্রচারের জন্য ৫০টিরও বেশি ক্রীড়া সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যারা মলে ব্যায়াম করছেন তাদের জন্য একটি বিকল্প, স্থায়ী ও উচ্চতর বিকল্প প্রদান করবে।’ স্পোর্টস বুলেভার্ডের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো প্রবীণ নাগরিকসহ সব বয়সী বাসিন্দাদের তৃণমূলে খেলাধুলা করতে উৎসাহিত করা। বিন আসকারের মতে, এতে অত্যাধুনিক অবকাঠামো ও সুবিধার মাধ্যমে সবুজ জীবনযাপনের সংমিশ্রণ হবে।’ সূত্র : আরব নিউজ
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু