অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ফিলিপাইনের অর্থনৈতিক প্রবৃৃদ্ধি। তারপরও দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুনরুদ্ধার কার্যক্রম এখনো ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাড়ানো হয়েছে সুদের হার। এতে ভোক্তাদের ব্যয় আরও বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ফিলিপাইনের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তৃতীয় প্রান্তিকে এক বছর আগের চেয়ে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাত দশমিক ছয় শতাংশ। ফিলিপাইনের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা সচিব আর্সেনিও বালিসাকান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ২০২২ সালে সরকারের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছয় দশমিক পাঁচ থেকে সাত দশমিক পাঁচকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে শূন্য দশমিক এক শতাংশ সংকোচনের পর জিডিপি বেড়েছে দুই দশমিক নয় শতাংশ, ধারণা করা হচ্ছে পরের প্রান্তিকে আরও এক শতাংশ বাড়বে। বালিসাকান বলেছেন, বর্তমানের এই অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান উল্লেখযোগ্য। তারপরও আমি নজর দিতে চাই মূল্যস্ফীতিতে। কারণ আমাদের নাগরিকরা এখনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী। প্রতিবেদনে বলা হয়, আমদানি ব্যয় বাড়ায় দুর্বল হচ্ছে স্থানীয় মুদ্রা পেসো। অক্টোবরে ফিলিপাইনের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়। তাছাড়া দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক কয়েক ধাপে সুদের হার বাড়িয়েছে। মূলত করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দেশে দেশে লাফিয়ে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। এতে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অসহনীয়ভাবে বেড়ে গেছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ