অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিপাইনে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত উত্তরাঞ্চলে কয়েকশ’ মৃদু ভূ-কম্পনের ফলে আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা গত রাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে ঘুমিয়েছেন। সেখানকার বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার এ কথা জানান।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বুধবার ওই অঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে সেখানে যান। গতকাল সকালে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর সেখানে এসব ভূ-কম্পন হতে থাকে।
বুধবার সকালে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে কম জনবহুল আবরা প্রদেশে ভূমিকম্পে ৫ জনের মৃত্যু এবং ১৫০ জন আহত হয়েছেন। কর্র্তৃপক্ষ এ কথা জানায়।
শক্তিশালী ভূমিকম্পে এই পাহাড়ি অঞ্চল জুড়ে বাড়িঘর, ভবন ভেঙ্গে গেছে, ভূমিধস হয়েছে এবং প্রায় ৩শ’ কিলোমিটার দূরে রাজধানী ম্যানিলার উঁচু ভবনগুলো কেঁপে উঠেছে।
গতকাল সকালে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর প্রতি ২০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে পরপর আফটারশক চলতে থাকে। আবরা’র প্রাদেশিক রাজধানী ব্যানগুয়েটের এক রেস্টেুরেন্ট মালিক রেগগি টলেনটিনো এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গতরাতে প্রায় প্রতিটি পরিবার তাদের ঘরের বাইরে ঘুমিয়েছে।’
ভূমিকম্পে শত শত ভবন ক্ষতিগ্রস্ত অথবা ধ্বংস হয়েছে। ভূমিধসের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে এবং প্রদেশটির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান কর্নেল ম্যালি কুলা এএফপি’কে বলেন, ‘ভূমিকম্পের যে শক্তি অনুভূত হয়েছে, সেই তুলনায় ক্ষয়ক্ষতি কম।’ আফটারশকের কারণে লোকরা বাইরে রাত কাটালেও পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
স্থানীয় ভূতাত্ত্বিক জরিপ এজেন্সি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর থেকে ৮শ’র বেশী আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি ছিল অনুভব করার মতো শক্তিশালী।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২