May 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, February 9th, 2024, 8:47 pm

ফিলিপাইনে ভূমিধসের ৬০ ঘণ্টা পর জীবিত শিশু উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক :

ফিলিপাইনের দক্ষিণের একটি পার্বত্য অঞ্চলে মর্মান্তিক ভূমিধসের ৬০ ঘণ্টা পর এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ধারকর্মীরা যখন জীবিত কাউকে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। তখনই ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত অবস্থায় একটি মেয়েশিশুকে উদ্ধার করেন তারা। এ ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ বলছেন অনেকেই। শিশুটির বয়স এখনো জানানো হয়নি। এর আগে গত মঙ্গলবার মিন্দানাও দ্বীপের দাভাও দে ওরো প্রদেশের খনিসমৃদ্ধ গ্রাম মাসারোয় ভয়াভহ ভূমিধস ঘটে। এতে অন্তত ১১ জন মারা যান ও অন্তত ৩১ জন আহত হন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক। ভূমিধসের ঘটনায় সোনার খনি সমৃদ্ধ গ্রামটিতে খনি শ্রমিকদের পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত তিনটি বাস ও জিপ গাড়ি কাদায় আটকে যায়। বাসগুলোতে থাকা ২৮ শ্রমিকের মধ্যে ৮ জন বেরিয়ে আসতে পারেন।

তাছাড়া এ দুর্ঘটনায় গ্রামটির অনেক বাড়িঘরও ধ্বংস হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। কাদা ও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে কাজে লাগান হচ্ছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর। এদিকে দাভাও দে ওরো প্রদেশের দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তা এডওয়ার্ড ম্যাকাপিলি এএফপিকে বলেছেন, দক্ষিণ মিন্দানাও দ্বীপের মাসারা গ্রামে জীবিতদের সন্ধানের জন্য উদ্ধারকারীরা তাদের খালি হাত ও বেলচা ব্যবহার করে শিশুটিকে পেয়েছেন। তিনি আরো জানান, উদ্ধারকারীরা ভেবেছিলেন, শিশুটি মৃত। তাকে জীবিত পাওয়া এক অলৌকিক ঘটনা। এতে আশা খুঁজে পাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

এ অবস্থায় শিশুদের টিকে থাকার ক্ষমতা বড়দের তুলনায় কম। তবু শিশুটি বেঁচে আছে। ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কাঁদতে থাকা কাদামাখা শিশুটিকে কোলে নিয়ে যাচ্ছেন এক উদ্ধারকর্মী। শিশুটির শরীরে দৃশ্যমান তেমন কোনো আঘাত নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ফিলিপাইনের এই অঞ্চলে ভূমিকম্প, ভূমিধস ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে ভূমিধসের আশঙ্কায় মাসারা ও আশপাশের চারটি গ্রামের শত শত পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে জরুরি কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া, মিন্দানাওয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রবল বৃষ্টি হওয়ার কারণে হাজার হাজার লোক আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে এবং বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ। সূত্র: এএফপি