অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বার্ষিক সাধারণ সভায় ফুটবলের উন্নয়নের জন্য ২০২২ সালের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৭ কোটি টাকা ঘাটতি। এই অর্থ পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে পাওয়ার আশা করছে ঘরোয়া ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি। রাজধানীর একটি হোটেলে শনিবার বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলররা গত বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব অনুমোদন দিয়েছেন। আর্থিক বিবরণীতে গত বছরের ব্যয় দেখানো হয়েছে ২৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। আয় ছিল ১৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এজিএমে কাউন্সিলরদের কারো কোনো অভিযোগ ছিল না বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। “শেষ এক বছরের কর্মকা- উপস্থাপনা করেছি। ভবিষ্যতের বাজেট দিয়েছি। সবাই অনুমোদন দিয়েছে। কার কী সমস্যা আছে, এটা নিয়েও আলোচনা করেছি। শান্তিপূর্ণভাবে কংগ্রেস হয়েছে। আমরা খুশি সবাই।” ফিফা, এএফসি ও অন্যান্য খাত থেকে বাফুফের আগামী বছরের আয়ের পরিমাণ ২৪ কোটি টাকা হতে পারে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এরপরও বাজেট ঘাটতি থাকে ১৭ কোটি টাকা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য জানান বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। “কোভিডের কারণে গতবার প্ঠৃপোষকদের কাছ থেকে সেভাবে সাড়া পায়নি। তবে সবার সার্বিক সহযোগিতায় খেলা চালিয়েছি। আশা করছি, সবার কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে সামনের দিনগুলোতেও খেলাগুলো ঠিকঠাক মতো চালাতে পারব।” নতুন বছরের বাজেটের বড় অংশ জাতীয় দল, প্রিমিয়ার লিগ ও জেলা ফুটবলের কার্যক্রমে ব্যয় হবে বলে জানান বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। “জাতীয় দল, প্রিমিয়ার ফুটবল ও জেলা ফুটবল মূলত এইসব জায়গায় জোর দেওয়া হবে। যার যার জায়গায় জেলা লিগ হবে। আমরাও তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।” বার্ষিক সাধারণ সভার আলোচ্য সূচিতে জাতীয় দলের পারফরম্যান্স, কোচ নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় না থাকলেও বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান সালাউদ্দিন। আগের মতোই প্রতিশ্রুতি দেন দ্রুত স্থায়ী কোচ নিয়োগ দেওয়ার।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা