অনলাইন ডেস্ক :
অভিনয় বা সিনেমার বাইরেও ইদানীং খবরে বেশি আসছেন কঙ্গনা রনৌত। বিশেষ করে পদ্মশ্রী পাওয়ার পর থেকেও যেন তার কথাবার্তার সেন্সরশিপে ঢিল পড়েছে বেশ। দিল্লি শিখ গুরুদুয়ারা কমিটি তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনলো, তাতে এমনটা ধারণা করাই যায়। কমিটির সভাপতি মাজিন্দর সিং বললেন, ‘কঙ্গনাকে হয় কারাগারে না হয় মানসিক হাসপাতালে পাঠানো দরকার’। কারণ সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয়টি মেনে না নিয়ে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রসঙ্গে কঙ্গনা তার ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘খালিস্তানি জঙ্গিরা হয়তো এখন সরকারের হাত আটকে রেখেছে। তবে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না সেই একজন নারীর কথা (ইন্দিরা)। তিনি তাদের (শিখদের) নিজের জীবনের বিনিময়ে মশার মতোই পিষেছিলেন। তথাপি তিনি দেশকে ভাগ হতে দেননি। এমনকি তার মৃত্যুর কয়েক দশক পরও এখনও তার শুনে ওরা ভয়ে কাঁপে।’ মূলত কৃষক আইনের চলমান প্রেক্ষাপটে শিখদের সঙ্গে ইন্দিরা সেই সংঘাতের কথাই টেনে এনেছেন কঙ্গনা। ভাষাগত দিক থেকে যা বেশ আক্রমণাত্মক ও ঘৃণায় টইটম্বুরই বলা চলে। যা এখনকার শিখ-কৃষক সম্প্রদায় কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। যে কারণে মাজিন্দর সিং সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কঙ্গনা দিনে দিনে ‘ঘৃণার ফ্যাক্টরি’ হয়ে উঠেছেন। তার মানসিকতাও নিচু থেকে নিচুতর হচ্ছে। খালিস্তানি জঙ্গি বলে তিনি সমগ্র কৃষকদেরই অপমান করেছে। ইতোমধ্যে এ নিয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছে মাজিন্দার সিং-এর সংগঠন দিল্লি শিখ গুরুদুয়ারা কমিটি। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুন
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’
চিন্তিত অনন্যা পান্ডে
কনাকে নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ