অনলাইন ডেস্ক :
হকির সবচেয়ে শক্তিশালী দল মোহামেডান-আবাহনী। কিন্তু এই দুই দল যতই শক্তিশালী হোক না কেন ঊষা ক্রীড়া চক্র হচ্ছে হকির আলো। ঊষা ছাড়া হকিতে যত কিছুই হোক, আলো ছড়ায় না। এমন একটা কথা হকি অঙ্গনে প্রচলিত। সেই ঊষা প্রিমিয়ার লিগ থেকে বাদ পড়ে এবার প্রথম বিভাগে খেলল। খেলতে বাধ্য হয়েছিল।প্রথম বিভাগ হকি লিগে এবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে আবার প্রিমিয়ার লিগে ফিরেছে। গত রোববার লিগের ম্যাচে ঊষা ৭-১ গোলে ঢাকা হকি ইউনাইটেডকে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ঢাকা ইউনাইটেডের সভাপতি হকি ফেডারেশনের সহসভাপতি সাজেদ আদেল এবং ঊষার সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ সিকদার হকি ফেডারেশনের সহসভাপতি। দুজনের দলের লড়াইয়ে হেরে গেলেন সাজেদ আদেল। ৯ খেলায় ২৭ পয়েণ্ট নিয়ে সবার ওপরে, এক ম্যাচ বাকি থাকলেও ঊষা চ্যাম্পিয়ন। কারণ কাছে থাকা ঢাকা ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৮ ম্যাচে ১৯। হাতে থাকা দুই ম্যাচ জিতলেও ঊষাকে আটকানো যাবে না। ঢাকা ইউনাইটেডেটের বিপক্ষে ঊষা জিতবে এটা আগেই ধারণা ছিল। কারণ এবার ঊষা শপথ করে দল গঠন করেছে, তারা বাজেট ব্যয় করে মাঠে নামবে। তিন জন ভারতীয় খেলোয়াড় এনেছিল। প্রথম দিকে দুই জন আর শেষ দিন ম্যাচ খেলল আরো একজন ভারতীয় খেলোয়াড়। এই তিন জনকে আনতে গিয়ে ঊষা ১০ হাজার ডলার খরচ করে ফেলল। সুফলও পেয়েছে। ভারতীয়রাই ঊষাকে প্রিমিয়ার লিগে তুলে আনার বড় ভূমিকা রাখলেন। ইশরাত ইখতেদার উত্তর প্রদেশ থেকে এসেছেন। হাসান রিজভীও একই জায়গা থেকে আসা। আর পাঞ্জাব থেকে ভগত সিং ধিলন। তিনি খেললেন তিন ম্যাচ। দারুণ খেলেন এই ডিফেন্ডার। এদের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় দলের গোলকিপার অসিম গোপ, দেবাশিষ রায়ের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-২১ হকি দলের ৫ জন খেলোয়াড় ছিলেন। ১৯৮৪ সালে প্রথম বিভাগে উঠেছিল ঊষা। তারও আগে এই দলটি মাহুতটুলি নামে খেলেছে। প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয় ১৯৯৪ সালে। ৩৮ বছর টানা প্রিমিয়ার লিগে খেলেছে। মোহামেডান আবাহনীর অপ্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যেও ঊষা ছিল হকির বড় আকর্ষণ। ঊষা ৯৬ মৌসুমে ১১১ গোল করে। রফিকুল ইসলাম কামাল ৪০ গোল করেছিলেন। আজও সেই গোলের রেকর্ড কেউ ভাঙ্গতে পারেনি। রাসেল মাহমুদ জিমি করেছেন ৩৭ গোল। সেই সময়ে অন্যতম কামাল, সাদেক, ঈসা, মুসা, গুড্ডু, টুটুল কুমার নাগ-সহ অনেক খেলোয়াড় খেলেছেন ঊষার জার্সি গায়ে। সেই লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়। কিন্তু চার বারের লিগ চ্যাম্পিয়ন ঊষা ২০১৮ সালে লিগে খেলতে পারেনি। কারণ দলবদলের সময় বাড়ানোর দাবিতে নিজেদের গুটিয়ে রাখে। সময় বাড়ানোর দাবিতে সরে যাওয়ায় সংকট তৈরি হয়। পরে যখন দলবদলের সময় বাড়ানো হয় তখন ঊষার সব দামি খেলোয়াড়রা অন্য ক্লাবে চলে যায়। ঊষা আর দল গঠন করেনি। নামিয়ে দেওয়া হয় প্রথম বিভাগ লিগে।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা