অনলাইন ডেস্ক :
বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট যজ্ঞ জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। কোভিডের কারণে বিরতির পর আবার শুরু হচ্ছে এই ক্রিকেট উৎসব। প্রায় ৭ হাজার ক্ষুদে ক্রিকেটারের অংশগ্রহণে এবার থেকে টুর্নামেন্টে যোগ করা হচ্ছে চমকপ্রদ নতুন অনেক কিছু। ২০১৫-১৬ মৌসুম থেকে স্কুল ক্রিকেটে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড। সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর নতুন করে তারা চার বছরের চুক্তি করেছে বিসিবির সঙ্গে। নতুন চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও নতুন লোগো উন্মোচন হয় শনিবার। বিসিবিতে সেই আয়োজনেই স্কুল ক্রিকেটের নতুন সংযোজনগুলোর কথা জানানো হয়। সবশেষ ২০২০ সালে স্কুল ক্রিকেট শুরু হয়ে কোভিডের কারণে বন্ধ হয়ে যায়। গতবছর তা আয়োজন করাই যায়নি। এবার টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে শুক্রবার থেকে। সবশেষ আসরে সাড়ে পাঁচশর মতো স্কুল অংশ নিলেও এবার অংশ নেবে ৬৪ জেলার ৩৪৮টি স্কুল। বিসিবি পরিচালক ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেট কমিটির প্রধান ওবেদ রশিদ নিজাম সংবাদ সম্মেলনে ব্যাখ্যা করলেন এবার স্কুল সংখ্যা কমানোর কারণ। “আমরা এবার মানের দিকে একটু বেশি জোর দিতে চাই। এজন্য স্কুল সংখ্যা কমেছে। আমরা কিছু মানদ- ঠিক করে দিয়েছিলাম স্কুলগুলোর জন্য। যেমন, কাদের মাঠ আছে, কোথায় ক্রিকেট খেলা হয় নিয়মিত, এরকম আরও বেশ কিছু ব্যাপার দিয়ে ফর্ম তৈরি করেছি। যারা এই মানদ-ে পড়েছে, তারাই সুযোগ পাচ্ছে।” যে স্কুলগুলো অংশ নিতে পারছে না, তাদের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের জন্য নতুন একটি নিয়ম রাখা হয়েছে এবার। টুর্নামেন্টে সুযোগ পাওয়া প্রতিটি স্কুল ৫ জন করে অতিথি ক্রিকেটার খেলাতে পারবে। স্কুল ক্রিকেটে অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের পর্যবেক্ষণে রাখা ও সঠিক তত্ত্বাবধানের জন্য এবার থেকে একটি ‘ডেটাবেজ’ চালু করা হচ্ছে। সেখানে ৭ হাজার ক্রিকেটারের সবার তথ্য থাকবে বলে জানালেন ওবেদ নিজাম। প্রতেক ক্রিকেটারের ‘আইডেন্টিফিকেশন’ নম্বর থাকবে, যা দিয়ে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। এবারের সবচেয়ে চমকপ্রদ সংযোজন ‘স্কলারশিপ।’ টুর্নামেন্টের সেরা ১৫ ক্রিকেটারকে বাছাই করে স্কুল ক্রিকেটে একটি ‘অল স্টার’ দল গঠন করা হবে। এরপর সেই দলকে নিবিড়ভাবে অনুশীলন করানো হবে এবং ম্যাচ খেলানো হবে। দলটিকে দেশের বাইরে সফরে পাঠানোর পরিকল্পনাও আছে বলে জানালেন বয়সভিত্তিক ক্রিকেট কমিটির প্রধান। সংবাদ সম্মেলনে থাকা বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমান জানালেন, নারী আম্পায়ারদের ডেভেলপমেন্টের অংশ হিসেবে এবার ২৫ জন নারী আম্পায়ার থাকবেন স্কুল ক্রিকেটের ম্যাচগুলি পরিচালনায়। আগামী শুক্রবার থেকে খেলা শুরু হবে ৩ জেলায়। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলায়ও খেলা শুরু হবে। জেলা পর্যায়ে ম্যাচ হবে ৫৮১টি। জেলা চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে হবে ৫৭টি ম্যাচ। এরপর ৭ বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোর সেরা দলগুলি নিয়ে হবে জাতীয় পর্যায়ের খেলা। জেলা পর্যায়ের ম্যাচগুলি বলের মান, উইকেটের মান নিয়ে আগে নানা সময়ে অভিযোগ শোনা গেছে। এবার এসব দিকে আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করলেন বয়সভিত্তিক ক্রিকেট কমিটির প্রধান।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা