সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মী অলিউর রহমান। ফেসবুক লাইভে থেকে সবাইকে আগুনের খবর দিচ্ছিলেন অলিউর রহমান।
এসময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়, এতে আশপাশের সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়। হাতের মোবাইল ছিটকে যায় অলিউর রহমানের। সেই লাইভে থাকা অলিউর রহমান ঘটনাস্থল থেকে উড়ে গিয়ে দূরে ছিটকে পড়েন। কিন্তু মুহূর্তে সেই লাইভ ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। সেই ভিডিওতেই দেখা যায় বিস্ফোণের চিত্র।
আজ রবিবার দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল অলিউর। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে অসংখ্য লাশের স্তুপ থেকে সহকর্মীরা শনাক্ত করে অলিউরকে। তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সহকর্মী রুয়েল।
রুয়েল জানান, অলিউর ফেসবুকে লাইভ করতে করতেই মারা গেছেন।
বিএম কন্টেইনার ডিপোর শ্রমিক রুয়েল বলেন, ‘যখন বিস্ফোরণ ঘটে তখন রাতের খাবারের সময় ছিল। খাবারের জন্য ডিপো থেকে চলে আসি আমরা। কিন্তু ফেসবুকে লাইভ করার জন্য অলিউর সেখানে থেকে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘অলিউর আর বেঁচে নেই। তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রয়েছে। এখন তার মরদেহ নেয়ার জন্য স্বজনরা মেডিকেলে যাচ্ছেন।’
এদিকে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিবেশ। চিৎকার, কান্না আর আহাজারিতে ভারী পুরো হাসপাতাল। হাসপাতালের সামনে হতাহতের স্বজনদের নিঃশ্বাসে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো পরিবেশ।
জানা গেছে, নিহত অলিউরের বাড়ী সিলেট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে। তিনি ওই এলাকার ফটিগুলি গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে। তিনি ডিপোতে শ্রমিকের কাজ করতেন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি