May 9, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, November 15th, 2023, 7:38 pm

বগুড়ায় আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশের ওসিসহ আহত ৩১

বিরোধীদলের ডাকা দুই দিনের অবরোধ চলাকালে বগুড়ার শেরপুরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে পুলিশের ওসিসহ দুটি দলের অন্তত ৩১ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ হলে। এই সংঘর্ষে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ৪ জনকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের সমর্থনে বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের নেতৃত্বে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শেরপুর উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে একটি মিছিল বের হয়।

মিছিলটি এগিয়ে যাওয়ার সময় পেছনে আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির সহসভাপতি শাহ জামাল সিরাজীর নেতৃত্বে অবরোধবিরোধী অপর একটি মিছিল থেকে প্রথমে ধাওয়া দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে তারা দুইপক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এর পরই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ বাধে।

এ সময় মহাসড়কের আশ-পাশের বেশ কিছু দোকানে ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরে শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তাদের মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিনা উসকানিতে হামলা চালায়। এতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

এদিকে শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ জানান, তাদের দলের নেতা-কর্মীরা শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি নেতা-কর্মীরা ইট-পাটকেল এবং ককটেল নিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় দলের ১১ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে অবরোধ সমর্থকদের নিক্ষেপ করা ইট-পাটকেলের আঘাতে তিনিসহ পুলিশ বাহিনীর ৫ সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।

—-ইউএনবি