বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতলের এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করা হয়।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত শজিমেক হাসপাতালের ২ নম্বর গেটের সামনে রংপুর -ঢাকা সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
আহত ফাহিম রহমান (২৮) শজিমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন ২৫তম ব্যাচের চিকিৎসক এবং ঢাকার সবুজবাগের নুর মোহাম্মাদের ছেলে। তিনি বর্তমানে শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
পরে ঘটনাস্থলে এসে বগুড়া শজিমেকের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে যান।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত কয়েক মাসে আরও দুই থেকে তিনবার শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের দ্বারা উত্যক্ত হয়েছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করলেও বিচার পাওয়া যায়নি। ক্যাম্পাসের আশপাশের সড়ক,ডরমেটরি,বাসকেট বল খেলার গ্রাউন্ড ও খেলার মাঠ সন্ধ্যার পরে ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে যায়। সেখানে বহিরাগতরা এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারসহ নারী শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করেন।
এসময় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত শজিমেক হাসপাতালের আশপাশে খাবার ও ওষুধের দোকান ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানান।
পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রশাসনের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে জানান, শজিমেক হাসপাতালের আশেপাশের সড়কে রাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ ও অন্ধকার স্থানগুলোতে আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কলেজ ক্যাম্পাসে সব ধরণের ভ্রাম্যমাণ দোকান ও অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ দালালদের দৌরত্ব বন্ধের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ চলাকালীন শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্বতা জানান বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, আপনাদের দাবির সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি। এই ক্যাম্পাস চিকিৎসক,শিক্ষার্থী ও রোগীদের জন্য । এই ক্যাম্পাসে বহিরাগত থাকবে না। ইতোমধ্যে একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আরও একজনকে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক দল কাজ করছে।
বগুড়া শজিমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা.রেজাউল আলম জুয়েল শিক্ষার্থীদের বলেন, আহতের জীবন এখনও শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। তিনি মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে শজিমেক হাসপাতালের দুই নম্বর গেটে ইন্টার্ন চিকিৎসক ফাহিম রহমানকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় এক ভ্রাম্যমাণ ঝাল-মুড়িওয়ালা দোকানী বাবা ও ছেলে বাকবিতণ্ডার জেরে এ ঘটনা ঘটায়।
এ ঘটনায় ঝাল-মুড়িওয়ালা ফরিদ ব্যাপারীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে তার ছেলে শাকিল হোসেন (২৫) পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম