অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির নেতা ইমরান খান তাঁর চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে তিনি ‘প্রকৃত মুক্তি’র লড়াই বলে মন্তব্য করেন। ইমরান স্মরণ করিয়ে দেন, জনগণের ম্যান্ডেট পাওয়া রাজনৈতিক দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় পাকিস্তান ভেঙে দুই টুকরো হয়েছিল। গত বুধবার পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ডন অনলাইন এ খবর জানায়। গত শুক্রবার আগাম নির্বাচনের দাবিতে ইসলামাবাদের উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেন ইমরান। লাহোর থেকে শুরু হওয়া এ লংমার্চে সাড়া দিচ্ছেন লাখ লাখ কর্মী-সমর্থক। উত্তর পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালায় লংমার্চের পঞ্চম দিন মঙ্গলবার এক জনসভায় ইমরান খান ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। সেখানে উঠে আসে ১৯৭০-এর নির্বাচন ও বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রসঙ্গ। পিটিআই নেতা বলেন, ‘ভোটে আওয়ামী লীগের জয়কে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এ কারণে দেশের (পাকিস্তানের) পূর্বাঞ্চল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে (বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন)।’ বক্তব্যে তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলি ভুট্টোর কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘একজন ধূর্ত রাজনীতিক ক্ষমতায় থাকার লোভে দেশের বৃহত্তম ও নির্বাচনে বিজয়ী দলটির (আওয়ামী লীগ) বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীকে নামিয়ে দিয়েছিলেন। এতে দেশ (পাকিস্তান) ভাগ হয়ে যায়।’ বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে তুলনা করে পিটিআই নেতা বলেন, তাঁর দল দেশের ‘বৃহত্তম ও একমাত্র জাতীয় দল। এর পরও সরকার নতুন নির্বাচনে তাঁর অংশগ্রহণের পথ বন্ধ করেছে। জুলফিকার আলি ভুট্টোর সমালোচনা করে ইমরান বলেন, ‘সবাই জানেন, শেখ মুজিবুর রহমানের দল ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল। এ অবস্থায় ক্ষমতা হস্তান্তর না করে একজন ধূর্ত রাজনীতিক আওয়ামী লীগ ও সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেন। বর্তমানে নওয়াজ শরিফ ও আসিফ আলি জারদারি একই ভূমিকায় আছেন। তাঁরা প্রভাবশালী গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে পিটিআইর ক্ষমতায় ফেরার পথ বন্ধ করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু