ঢাকার বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তার তিনটি দোকান পুড়ে যাওয়ায় শহিদুলের জীবনের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভেস্তে গেছে।
সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে দুঃখ প্রকাশ করে শহিদুল বলেন, ‘আমি সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এখানে এসে দেখি পুরো মার্কেটে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম যে অগ্নিনির্বাপক ইউনিটগুলো অ্যানেক্স টাওয়ারকে বাঁচাতে পারবে, যেখানে আমার দোকান এবং দুটি গুদাম রয়েছে। কিন্তু এগুলোও আগুনে পুড়ে গেছে।’
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার বাসিন্দা শহিদুল ১৯৯১ সালে ফুলবাড়িয়া বঙ্গবাজার মার্কেটে দোকান খোলেন। পরে আরও তিনটি দোকানের মালিক হন তিনি।
তিনি দাবি করেন, ঈদ-উল-ফিতরের আগে তিনি তার চারটি দোকানের জন্য আট কোটি টাকার মালামাল কিনেছিলেন, কিন্তু আগুনে সবকিছু ছাই হয়ে গেছে।
শহিদুল বলেন, ‘ঈদের আগে সব হারাবো ভাবতে পারিনি।’
শহিদুলের মতোই আরেক ব্যবসায়ী ও বাজারের দোলন গার্মেন্টস স্টোরের মালিক মঈনুদ্দিন বলেন, সবই নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি করোনার কারণে গত দুই বছর ধরে ব্যবসা করতে পারিনি। সেসময় আমার কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই বছর আমি আশা করেছিলাম যে আমি ক্ষতিপূরণ করতে পারব, কিন্তু আগুন সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে।’
মঈনুদ্দিন আরও বলেন, ‘আমি আর আমার ব্যবসা চালাতে পারব না।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি