অনলাইন ডেস্ক :
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে মাত্র ২০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের কোচ জনাথন ট্রটের কথাই সত্যি হলো। যদিও তার চাওয়ার চেয়ে ১০টি রান বেশি করেছে বাংলাদেশ। সাবেক ইংল্যান্ড ক্রিকেটার চেয়েছিলেন, দ্বিতীয় দিন ১০ রানে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে গুটিয়ে দিতে। তারপর ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০০ রান করবে তার ব্যাটাররা। কিন্তু বোলাররা আশা পূরণ করলেও ব্যাটাররা ব্যর্থ। এবাদত হোসেনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সঙ্গে তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের স্পিনে ১৪৬ রানেই থামে আফগানিস্তান। ৩৮২ রান করা বাংলাদেশ ২৩৬ রানের লিড পেয়ে ফলো অনের সুযোগ নেয়নি। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে এবং মাহমুদুল হাসান জয়ের ঝড়ো ১৭ রানের পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসানের দুরন্ত ব্যাটিং বাংলাদেশকে ভুলিয়ে দিয়েছে দিনের বাজের শুরুটা। ১১৬ রানের অপরাজিত জুটিতে দিন শেষ করেছেন জাকির ও শান্ত। দুজনেই সমান ৫৪ রানে খেলছিলেন। ১ উইকেটে বাংলাদেশ করেছে ১৩৪ রান। লিড ৩৭০ রানের। দলীয় ১৮ রানে মাহমুদুল হাসান জয় (১৭) ফেরার পর জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান। প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা পাশ কাটিয়ে ফিফটি করেছেন জাকির। ২১তম ওভারের শেষ বলে ষষ্ঠ বাউন্ডারিতে ৫৬ বলে পঞ্চাশ ছোঁন তিনি। তার পরের ওভারের প্রথম বলে অষ্টম চার মেরে ৬১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন শান্ত। দুজনের একশ ছাড়ানো জুটিতে বাংলাদেশের লিড সাড়ে তিনশ ছাড়িয়ে।
আফগানিস্তানকে বড় লক্ষ্য দিতে দ্বিতীয় ইনিংসে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ২ ওভারে ১৮ রান তুলে ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয়। পরে জাকির হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তও আগ্রাসী ব্যাটিং করছেন। পঞ্চম ওভারে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান শান্ত, পরের ওভারে জাকির মারেন তিনটি। তাদের ব্যাটে বাংলাদেশের লিড তিনশ ছাড়িয়ে গেছে। ১৮তম ওভারে ইয়ামিন আহমদজাইকে টানা চারটি বাউন্ডারি মেরেছেন শান্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে জাকির হাসানকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে নেমেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। খেললেন ২ ওভার, পুরোটা সময় ছিলেন স্ট্রাইকে। ১৩ বলে চারটি চারে ১৭ রান তোলেন তিনি। প্রথম ওভারে জীবন পেয়েও লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আমির হামজার শিকার এই ওপেনার। ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চা বিরতির পর ফিরে মেহেদী হাসান মিরাজ দেন এক রান। তাইজুল ইসলাম পরের ওভারে নিজাত মাসুদকে খালি হাতে ফেরান। জাকির হাসান সিলি মিড অফে তার ক্যাচ নেন। এরপরই মিরাজ তুলে নেন তার ১৫০তম টেস্ট উইকেট। করিম জানাত ২৩ রানে স্টাম্পিং হন। ১৪৬ রানে অলআউট আফগানিস্তান। ২৩৬ রানের লিড নেয় বাংলাদেশ। ফলো অনের সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সুযোগ থাকলেও তা নিচ্ছে না তারা। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন এবাদত হোসেন। দুটি করে পান শরিফুল ইসলাম, মিরাজ, তাইজুল ইসলাম। নাসির জামাল ও আফসার জাজাই বাংলাদেশকে অস্বস্তিতে রেখেছিলেন। দ্বিতীয় সেশনে তাদের জুটি ভাঙতে ঘাম ছুটেছে বাংলাদেশের বোলারদের। পেসারদের সামনে সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন দুই ব্যাটার। মেহেদী হাসান মিরাজ বল হাতে নিয়ে বিচ্ছিন্ন করেন তাদের। নিজের দ্বিতীয় ওভারে নাসিরকে (৩৫) ফেরান, পরের ওভারে এবাদত হোসেন তুলে নেন আফসারের (৩৬) উইকেট। ৪ বলে ২ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। এরপর আমির হামজাকে নিজের চতুর্থ শিকার বানান এবাদত। তাইজুল ইসলাম তুলে নেন এই ম্যাচে তার প্রথম উইকেট।
১৪০ রানে ৮ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ৮ উইকেটে ১৪৪ রানে চা বিরতিতে গেছে তারা। ফলো অন এড়াতে এখনও ৩৯ রান দরকার তাদের। পরিস্থিতি বলছে, বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে ম্যাচ। দ্বিতীয় স্পেলে তাইজুল ইসলাম বল হাতে নিয়ে পেলেন সাফল্য। ইয়ামিন আহমদজাইকে লিটন দাসের ক্যাচ বানালেন। ১৪০ রানে ৮ উইকেট নেই আফগানিস্তানের। ফলো অন এড়াতে ৪৩ রান দরকার তাদের। মুমিনুল হক দুর্দান্ত ক্যাচ নিলেন। বাংলাদেশ পেলো ৭ উইকেট। ১২৮ রানে এবাদত হোসেন পেলেন তার চতুর্থ উইকেট। শর্ট লেগে আমির হামজার (৬) ক্যাচ এক হাতে লুফে নেন মুমিনুল। মেহেদী হাসান মিরাজের ব্রেকথ্রু। বাংলাদেশের সামনে প্রতিরোধ গড়া জুটি ভাঙলো। নাসির জামালকে এলবিডব্লিউ করেন স্বাগতিক স্পিনার। পরের ওভারে এবাদত হোসেন বল হাতে নিয়ে ফেরান আরেক সেট ব্যাটার আফসার জাজাইকে। ৪০ বলে ৩৬ রান করেন আফগান ব্যাটার। চার বলে ২ উইকেট তুলে নিয়ে আবার ম্যাচে ফিরলো বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামদের পেসে কাজ হচ্ছিল না। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন নাসির জামাল ও আফসার জাজাই।
৫১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আফগানিস্তান এই জুটিতে একশ ছাড়িয়ে যায়। সফল হলেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ওভারে ২ রান দেওয়ার পর আরেকবার বোলিংয়ে এসে পেয়ে গেলেন সাফল্য। নিজের দ্বিতীয় ওভারে নাসির জামালকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। ৪৩ বলে ৬ চারে ৩৫ রান আসে আফগানের ব্যাট থেকে। আফসার জাজাইয়ের সঙ্গে ৭৩ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন নাসির। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। ৫১ রানে চার উইকেট হারানোর পর আফগানিস্তান সতর্ক। আফসার জাজাই ও নাসির জামালের জুটিতে একশ ছাড়িয়েছে তাদের স্কোর। লাঞ্চ ব্রেকের পর ফিরে এসে নাসির জামাল ও হাশমতউল্লাহ শহীদী একটি করে চার মারেন। বেশিদূর যেতে পারেনি তাদের জুটি। মাত্র ১৬ রান তুলেছেন দুজনে। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে শরিফুল ইসলাম বিচ্ছিন্ন করলেন হাশমতউল্লাহ ও জামালকে। এক্সট্রা বাউন্সের বলটি ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে স্লিপে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়ে। ১৬ বলে ৯ রান করেন আফগান অধিনায়ক।
৫১ রানে ৪ উইকেট হারালো সফরকারীরা। ফিল্ডিংয়ে আরও চটপটে থাকলে বাংলাদেশ প্রথম সেশন শেষে আরও ভালো অবস্থানে থাকতে পারতো। খারাপও নেই। ৩ উইকেট নিয়ে ফেলেছে তারা ৩৫ রানের মধ্যে। এবাদত হোসেনের শর্ট বলে মিডউইকেটে তাসকিন আহমেদের ক্যাচ হন রহতম শাহ। ১৮ বলে ৯ রানে বিদায় নেন তিনি। তৃতীয় উইকেটটি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাঞ্চ ব্রেকের ঘোষণা দেন আম্পায়াররা। এর আগে ওপেনার আবদুল মালিককে নিজের প্রথম ওভারে প্যাভিলিয়নে পাঠান এবাদত। ১৭ রান করেন আফগান ব্যাটার। সফরকারীদের প্রথম উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। ইব্রাহিম জাদরানের ক্যাচ নেন লিটন দাস। স্লিপে দাঁড়ানো জাকির হাসান, নাজমুল হাসান শান্তরা বলের নাগাল পেলে দারুণ কিছুই হতো। তাছাড়া লিটনও শুরুতেই ক্যাচ ছাড়েন। মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক রান আউটের সুযোগ নষ্ট করেন। ফিল্ডিংয়ে কিছুটা আক্ষেপ বাদ দিয়ে ভালোই করেছে বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় তারা। বৃহস্পতিবার ৩৬২ রানে খেলতে নেমে ৩৮২ রানে বাকি পাঁচ ব্যাটার বিদায় নেন। তাতে হতাশই করেছে স্বাগতিকরা। ষষ্ঠ ওভারে শরিফুল ইসলাম ভাঙেন উদ্বোধনী জুটি। ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে ফেরান তিনি লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে।
পরের ওভারে এবাদত হোসেন পেলেন সাফল্য। তৃতীয় স্লিপে জাকির হাসান নিচু ক্যাচ নেন। ১৭ রান করে আউট আরেক ওপেনার আবদুল মালিক। আগেরবার শরিফুল ইসলামের বলেই লিটন দাসের হাত ফসকে জীবন পান ইব্রাহিম জাদরান। এবার আর টিকতে পারলেন না আফগানিস্তানের ওপেনার। বাঁহাতি পেসারের ডেলিভারিতে তার ব্যাট ছুঁয়ে বল লিটনের গ্লাভসে জায়গা করে নেয়। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে ১৮ রানে প্রথম উইকেট পেলো বাংলাদেশ। ৬ রানে থামলেন ইব্রাহিম। ১ রানে পাওয়া জীবন কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় ওভারে শরিফুল ইসলামের ওভারপিচড বল ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাট ছুঁয়ে গেলো ফার্স্ট স্লিপে। সেখানে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু বলের দিক লক্ষ করে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়লেন লিটন দাস। উইকেটকিপারের গ্লাভসে বল গেলো, কিন্তু ধরে রাখতে পারলেন না। অথচ তিনি ডাইভ না দিলে হয়তো শান্ত সহজেই ক্যাচটা নিতে পারতেন। ক্যাচটা নিজে নিতে পারলেন না অধিনায়ক, নিতেও দিলেন না। ১ রানে জীবন পেলেন আফগান ওপেনার। ৫ উইকেটে ৩৬২ রানে দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ক্রিজে ছিলেন দুেই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায় বাংলাদেশ অন্তত চারশ করবে।
কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে আর ২০ রান করেই গুটিয়ে গেলো স্বাগতিকরা। নিজাত মাসুদ আরও তিনটি উইকেট নিয়ে এই ধসে নেতৃত্ব দিলেন। আফগানিস্তানের পেসার অভিষেকেই নিলেন পাঁচ উইকেট। দলীয় ৩৭৩ রানে দিনের প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার চতুর্থ ওভারে মিরাজ থামেন ৪৮ রান করে। পরের ওভারে মুশফিক ৪৭ রান করে নিজাতের শিকার। দুই বল পর তাইজুল ইসলাম ডাক মারেন। একে একে তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামও প্যাভিলিয়নে। ৯ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। নিজাত শরিফুলকে বোল্ড করে প্রথম টেস্টেই ফাইফার পেলেন। ১৬ ওভারে ৭৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি। ৩৮২ রানে শেষ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। প্রথম দিনের শেষে সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তান কোচ জনাথন ট্রট বলেছিলেন, আর ১০ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট নিতে চায় তারা।
বলা যায়, লক্ষ্য মোটামুটি পূরণ করেছে সফরকারীরা। প্রথমে মেহেদী হাসান মিরাজ, পরে মুশফিকুর রহিমকে প্যাভিলিয়নে ফেরালো আফগানিস্তান। দুজনই হাফ সেঞ্চুরি থেকে কয়েকটি রান দূরে থাকতে আউট হলেন, ফিরে গেছেন তাইজুল ইসলামও। তিন রানের মধ্যে তিনটি উইকেট হারালো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনে মাত্র ১৯ বল টিকে ছিল এই জুটি। দিনের চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে ইয়ামিন আহমাদজাইয়ের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে আমির হামজাকে নিচু ক্যাচ দেন মিরাজ। ৮০ বলে ৮ চারে ৪৮ রান করেন তিনি। পরের ওভারে নিজাত মাসুদ থামান মুশফিকুকে। ৭৬ বলে চার চারে ৪৭ রান করে স্লিপে নাসির জামালের ক্যাচ হন তিনি। নিজাতের পরের বলে রান নিতে পারেননি নতুন ব্যাটার তাইজুল ইসলাম। ঠিক এরপরই আউট তিনি। শর্ট লেগে আবদুল মালিক দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন। ৩৭৩ থেকে ৩৭৫ রানের মধ্যে নেই তিন ব্যাটার। তাসকিন আহমেদ এই ধস ঠেকাতে পারেননি। ৭ বলে ২ রান করে ইয়ামিন আহমদজাইয়ের বলে এলবিডব্লিউ হন।
৩৭৭ রানে ৯ উইকেট নেই বাংলাদেশের। ঢাকা টেস্টে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটিংয়ে প্রথম দিন বাংলাদেশের হাতের মুঠোয় ছিল। শেষ সেশনে তিন উইকেট নিয়ে আফগানিস্তান ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল। তবে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম ক্রিজে থাকায় দ্বিতীয় দিনও বাংলাদেশ আধিপত্য দেখাবে, এমনটাই প্রত্যাশা। প্রথম দিন ৬ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর মাহমুদুল হাসান জয় ও শান্তর ২১২ রানের জুটিতে প্রায় দুই সেশন আফগানিস্তানকে চাপে রেখেছিল বাংলাদেশ। জয় ৭৬ রানে আউট হন দ্বিতীয় সেশনে। শান্ত দিন শেষ করতে আসতে পারেননি। ১৪৬ রানে থামেন। মুশফিক ও মিরাজ হাফ সেঞ্চুরির হাতছানি নিয়ে বৃহস্পতিবারের খেলা শুরু করেছেন। ৪৩ রানে মিরাজ ও ৪১ রানে খেলছেন মুশফিক। বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৩৬২।
সংক্ষিপ্ত স্কোর- বাংলাদেশ: দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ ওভারে ১৩৪/১ (জাকির ৫৪*, শান্ত ৫৪*; জয় ১৭); দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ এগিয়ে ৩৭০ রানে।
আফগানিস্তান: প্রথম ইনিংসে ৩৯ ওভারে ১৪৬ (জহির ০*: করিম ২৩, নিজাত ০, ইয়ামিন ০, আমির ৬, আফসার ৩৬, জামাল ৩৫, হাশমতউল্লাহ ৯, রহমত ৯, মালিক ১৭, ইব্রাহিম ৬)
বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংসে ৮৬ ওভারে ৩৮২ (এবাদত ০*; শরিফুল ৬, তাসকিন ২, তাইজুল ০, মুশফিক ৪৭, মিরাজ ৪৮, লিটন ৯, শান্ত ১৪৬, মুমিনুল ১৫, জয় ৭৬, জাকির ১)
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান