অনলাইন ডেস্ক :
দুজন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের হলেও লিওনেল মেসির সঙ্গে দানি আলভেসের সম্পর্কটা বন্ধুত্বের। বন্ধুর যেকোনো অর্জনে সবসময় খুশি হন আলভেস। সাবেক ক্লাব সতীর্থের বিশ্বকাপ জয়ে তার উচ্ছ্বাস যেন আরও বেশি। মুহূর্তটি আর্জেন্টাইন মহানায়ককে স্রেফ উপভোগ করে যেতে বললেন ব্রাজিলের অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার। রোমাঞ্চ, উত্তেজনায় ঠাসা রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে শিরোপাধারী ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে রোববার বিশ্ব সেরার ট্রফি উঁচিয়ে ধরেন মেসিরা। লুসাইল স্টেডিয়ামে ১২০ মিনিটের লড়াইটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়। সাফল্যম-িত ক্যারিয়ারে স্রেফ এই একটি শিরোপার স্বাদ পাওয়াই বাকি ছিল মেসির। অবশেষে আরাধ্য সেই ট্রফিতে চুমু আঁকতে পারলেন তিনি। যা দেখে ভালো লাগছে আলভেসের। চলতি বিশ্বকাপের ব্রাজিল দলে ছিলেন আলভেস। খেলার সুযোগ পান কেবল দুটি ম্যাচে। কোয়ার্টার-ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটে হেরে বাদ পড়ে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সেই ক্রোয়াটদেরই হারিয়ে ফাইনালে যায় আর্জেন্টিনা। পরে গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি ফিরিয়ে নেয় লাতিন আমেরিকায়, ২০ বছর পর। ২০০২ সালে ব্রাজিল শিরোপা জেতার পর টানা চার আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় ইউরোপের কোনো দেশ। ব্রাজিল না পারলেও লাতিন আমেরিকার আরেক দল বিশ্ব জয় করেছে, এটাই আনন্দ দিচ্ছে আলভেসকে। বিশেষ করে বার্সেলোনার সাবেক সতীর্থের হাতে ট্রফিটি ওঠায় বেশি খুশি তিনি। ইনস্টাগ্রামে মেসিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ৩৯ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান। “তারা আমাকে যা বলে, আমি সেসব পাত্তা দেই নাৃমেসি, তোমাকে পুরো বিশ্ব ভালোবাসে, ফুটবল তোমাকে ভালোবাসে এবং আমাদের মধ্যে যারা ফুটবল ভালোবাসে তারা তোমাকে সম্মান করে। মুহূর্তটির জন্য তোমাকে অভিনন্দন। পরিবার নিয়ে উপলক্ষটি উপভোগ করো” “একজন ব্রাজিলিয়ান ও দক্ষিণ আমেরিকান হিসেবে আমি জানি, এটা ¯্রফে ট্রফি জয়ের চেয়েও বেশি কিছু। ফুটবল দীর্ঘজীবী হোক এবং এই খেলাটিকে যারা ভালোবাসে তারাও” ২০০৮ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত মেসির সঙ্গে বার্সেলোনায় খেলেন আলভেস।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা