নিজস্ব প্রতিবেদক:
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর সরকার বাসভাড়া নির্ধারিত করে দেয়। কিন্তু তার পরিবর্তে এখনো অনেক বাস অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। এমনকি সিটিং সার্ভিস বন্ধের কথা থাকলেও মানা হচ্ছে না সেই নির্দেশনা। সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর রামপুরায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জিব দাসের ভ্রাম্যমাণ আদালতে এসব চিত্র উঠে আসে। বাসের অতিরিক্ত ভাড়া প্রতিরোধে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। এতে দেখা যায়, বেশিরভাগ বাসেরই কাগজপত্রে রয়েছে গোঁজামিল। তুরাগ, রাইদা, আকাশ, অনাবিল, ভিক্টর ক্লাসিক নামের পরিবহনগুলোর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট ঝুলানোর নিয়ম থাকলেও তাও মানা হয় না। প্রায় প্রতিটি বাসেই এই চিত্রের দেখা মেলে।
রাইদা পরিবহনের যাত্রীরা অভিযোগ করেন, এখনো সিটিং সার্ভিস চালু রেখেছে রাইদা। গাড়িতে লাগানো নেই সিএনজিচালিত বা ডিজেলের স্টিকার। ২৫ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ৩০ টাকা। অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে কথা বললে যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বাসের হেলপার-চালকরা। ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জিব দাস বলেন, আমরা সকাল থেকে অভিযান চালিয়েছি। যারা অনিয়ম করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে মামলা দিচ্ছি। যেসব বাস ভাড়া বেশি নিয়েছে তাদের সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানার নিয়ম থাকলেও আমরা সব কিছু বিবেচনা করে তিন-চার হাজার টাকা করে জরিমানা করেছি। এ এলাকায় দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ৮টি বাসকে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দিয়েছি। মামলায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। তিনি আরও বলেন, বাড়তি ভাড়া নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অতিরিক্ত ভাড়া নিলে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত চলবে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম