দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব কামরুল হাসান জানিয়েছেন, বন্যায় দেশের ১১ জেলায় পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে ১০ লাখ ৪৭ হাজার ২৯ পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫২ লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের এবং নিখোঁজ রয়েছেন ২ জন।
রবিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
সচিব আরও জানান, ১১ জেলায় ৭৩ উপজেলার ৫৪৫ ইউনিয়ন-পৌরসভা বন্যা প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যাদুর্গতদের জন্য ৩ হাজার ৬৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে জানিয়ে কামরুল হাসান বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ৪ লাখ ১৫ হাজার ২৭৩ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ২২ হাজার ২৯৮টি গবাদিপশুও রাখা হয়েছে।
১১ জেলার বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব বলেন, ‘সার্বিকভাবে ১১ জেলায়ই বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তাই নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হচ্ছে না।’
ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসার জন্য ৭৪৮টি মেডিকেল টিম চালু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ত্রাণসচিব বলেন, ‘ফেনীতে একটি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। ওইখানে যে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্যা আক্রান্ত এলাকা থেকে যারা স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসবে তাদের প্রত্যেককে যেন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে।’
ত্রাণসচিব আরও বলেন, ‘পানি নেমে যাওয়ার পর অনেক রোগের প্রাদুর্ভাব হতে থাকে। এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক করেছি। প্রত্যেককে নিরাপদ পানি ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করেছি। আমাদের কন্ট্রোল রুম খোলা আছে।’
এছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার একটি হিসাব খোলা আছে যেখানে সবাই বন্যাদুর্গতদের সহায়তার করতে পারেন বলে জানান ত্রাণসচিব।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ