দেশের অধিকাংশ জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকলেও ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল পর্যন্ত) নেত্রকোণা, কুড়িগ্রাম ও মৌলভীবাজার জেলায় বন্যায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১০ জনে দাঁড়িয়েছে।
নিহতদের সবাই বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১৭ মে থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত মৃত্যুর এ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।
বজ্রপাত, ডায়রিয়া, চর্মরোগ, সাপের কামড়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, ভূমিধস ও পানিতে ডুবে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
অধিদপ্তর জানায়, নিহতদের মধ্যে ময়মনসিংহে ৪০ জন, সিলেটে ৫৭ জন, রংপুরে ১২ জন এবং ঢাকা বিভাগে একজন মারা গেছেন।
এছাড়া এ সময় প্রায় ১৩ হাজার ৮৯২ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও যোগ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বন্যা কবলিত ৭০টি উপজেলার মধ্যে সিলেট বিভাগে ৩৩, রংপুর বিভাগে ১৬, ময়মনসিংহ বিভাগে ২০ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে একটি উপজেলা রয়েছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কুড়িগ্রাম সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা যেখানে যথাক্রমে ১৩, ১১, ১০ ও ৯টি উপজেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মোট এক হাজার ৯৪৪টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং দুই হাজার ২১টি মেডিকেল টিম বন্যার্ত মানুষকে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার কাজ করছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র