July 1, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, June 27th, 2024, 8:42 pm

বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বৃদ্ধির শঙ্কা

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তিস্তা ছাড়া প্রায় সব নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এতে তিস্তার পানি বেড়ে বিপদসীমার ওপরে উঠে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কুশিয়ারা নদীর মারকুলি পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি কমছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

একইভাবে মনু, খোয়াই নদী ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি কমছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি সার্বিকভাবে কমতে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তরাঞ্চল ও পার্শ্ববর্তী উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সুনামগঞ্জে ৮০ মিলিমিটার। এ বাইরে ঢাকায় ও সুনামগঞ্জের ছাতকে ৭২, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬০ এবং শেরপুরে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। গতকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছুকিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের অপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এদিকে টাঙ্গাইল, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের অপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছুকিছু জায়গা থেকে কমে আসতে পারে।