বরগুনায় নারীর সম্ভ্রমহানির অভিযোগে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৭ জুলাই) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান এ আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান রনো বরগুনা পৌর শহরের কেজি স্কুল সড়কের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।
জানা যায়, এ বছরের ৮ এপ্রিল আসাদুজ্জামান রনো ও তার সহযোগী দেলোয়ারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তার এক নারী প্রতিবেশী মামলা করেন।
ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি বরগুনা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুসন্ধান করে ৭ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।
গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক মো. জাহিদ হাসান মিয়া ১মে আসামি রনো ও দেলোয়ারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিচারক ১১ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার নির্দেশ দেন।
দেলোয়ার বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হয় এবং রনো সোমবার স্বেচ্ছায় ওই ট্রাইব্যুনালে হাজির হন।
আদেশের পরে আদালত প্রাঙ্গণে রনো বলেন, আমাদের জমির ওপর দিয়ে পানির পাইপ নিতে চায় মামলার বাদীর স্বামী আবু জাফর। আমি বাধা দিলে আবু জাফর তার স্ত্রীকে দিয়ে এই মিথ্যা মামলা দেওয়ায়। আমি ঢাকায় ব্যবসা ও রাজনীতি করি। মামলা বিষয় আমি কিছু জানতাম না।
অন্যদিকে, মামলার বাদী বলেন যে চলতি বছরের ৩এপ্রিল সকালে আমার বাসার পূর্ব পাশে এসে রনো ও দেলোয়ার আমাকে লাগমন্দ করে। আমি প্রতিবাদ করলে রনো ও দেলোয়ার আমাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে।
বরগুনার বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, বাদীর মামলার ঘটনা সত্য মর্মে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দিয়েছে। এ কারণে রনোর জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অপর আসামি দেলোয়ারের জামিন আবেদন শুনানি হবে আগামী ২৩ জুলাই।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ