বরগুনায় ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি আলোচিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মহরম আলীসহ ১৩ পুলিশের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। রবিবার বরিশালের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আক্তারুজ্জামান জানান, ১৫ আগস্ট বরগুনা শিল্পকলা একাডেমিতে শোক দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে ছাত্রলীগের সঙ্গে পুলিশের যে ঘটনা সেটি তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি রবিবার সন্ধ্যায় তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনে জনগণের সঙ্গে ব্যবহারে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীসহ একজন ইন্সপেক্টর, দুজন সাব ইন্সপেক্টরসহ ওই স্থানে কর্তব্যরত ১৩ জন পুলিশ সদস্যের আচরণগত ত্রুটির প্রমাণ মিলেছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এই ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বরিশাল রেঞ্জ অফিস থেকে ইতোমধ্যে ঢাকায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা কার্যকর করতে বরগুনা পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এর আগে মহরম আলীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে যুক্ত করা হয়। এছাড়া বরগুনার ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। ওই ঘটনায় পুলিশের পেশাদারত্ব কতটা ছিল, ঘটনাস্থলে কী কী হয়েছে, তার সব কিছুই তদন্ত করা হবে।
গত ১৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে ফুল দিতে যান বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়। এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম