বরগুনা শহরের গোলাম সরোয়ার সড়কের বিহারি পট্টিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসত ঘর ও আবাসিক হোটেলসহ ১৯ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। এতে পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আনুমানিক দশ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
সোমবার রাত পৌনে দশটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট।
অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের কারণ জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার রাত পৌনে দশটার দিকে একটি তুলার দোকানে আগুন লাগে। এর ১০-২০ মিনিটের মধ্যে আশপাশের কয়েকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস বরগুনা স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে আমতলী, বেতাগী ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থেকে আরও পাঁচটি ইউনিট এসে আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক ও পৌর মেয়র অ্যাড, কামরুল আহসান মহারাজ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গির মল্লিক ক্ষতিগ্রস্ত ১৯টি পরিবারের পাঁচ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করেছেন।
এ বিষয়ে বরগুনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে সোয়া দশটার দিকে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। তবে আগুনের তীব্রতার কারণে আমাদের একার পক্ষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে খবর দিলে আমতলী, বেতাগী ও মির্জাগঞ্জ থেকে কয়েকটি ইউনিট আসে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি