মাসুদ রানা,বরিশাল :
ব্যাটারি চালিত যানবাহন উচ্ছেদ নয় এই, ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা রাখার স্ট্যান্ড চাই, অযথা শ্রমিক হয়রানি-মামলা-নির্যাতন বন্ধ করা ও নীতিমালা চূড়ান্ত করে দ্রুত ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্স দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান নিয়ে বরিশালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন কয়েক শ’ শ্রমিকরা। ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যেগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ চলে। এতে করে নগরীজুড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তির শিকার হন গন্তব্যে ছোটা মানুষ। ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ বরিশাল জেলা সমন্বয়ক মানিক হাওলাদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজলুল রশিদ ফিরোজ, বরিশাল জেলা শাখার আহ্বায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন, সদস্য সচিব মনীষা চক্রবর্তীসহ আরও অনেকে। এসময় বক্তরা বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেই ৫ টাকা, আর আমাদের মামলা দেয়া হয় ৫ হাজার টাকার। প্রতিবাদ করলে মামলার পরিমান অহেতুক বাড়িয়ে দেয় পুলিশ। আমরা এর থেকে নিস্তার চাই। রাস্তায় যাত্রী নামানোর জন্য রিকশা বা ইজিবাইক দাঁড় করালেই পুলিশ হাজির হয়। আমাদের হয়রানি করে। আমাদের নিয়ে এত সমস্যা থাকলে কেন রাস্তায় নামতে দিয়েছে সরকার। নগরীতে রাস্তা ছাড়া কোনো স্থান নেই যেখানে গাড়ি দাঁড় করানো যায়। যদি স্ট্যান্ড থাকতো তাহলে আমাদের গাড়ি রাখতে সুবিধা হতো। আর এতে পুলিশি হয়রানিতেও পড়তে হতো না আমাদের। এসময় কেন্দ্রীয় সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন বলেন, বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে সরকার যদি ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করে দেয় তাহলে চালকরা চুপ থাকবে না। ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক বন্ধ করে দেয়া হলে ১ কোটি মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকরা মিছিল বের করে নগরীর বিভিন্ন সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি