November 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, February 3rd, 2022, 6:42 pm

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে চালু হলো জটিল রোগের ৪ বহিঃবিভাগ

জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল :

প্রতিষ্ঠার ৫১ বছর পর প্রথমবারের মতো বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিমে) হাসপাতালে চালু হয়েছে ভাস্কুলার সার্জারি, কার্ডিওলজি, ইউরোলজি ও গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি বহিঃ বিভাগের কার্যক্রম। বুধবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম ও কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মনিরুজ্জামান। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭০ সালের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কার্যক্রম শুরু হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে সব ধরনের রোগের চিকিৎসার ইনডোর আউটডোর সেবা থাকতে হবে। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্থান সল্পতার কারনে একাধিক রোগের ইনডোর-আউটডোর সেবা কার্যক্রম চালু ছিল না। বিশেষ করে কার্ডিওলজি (হৃদরোগ) চিকিৎসার বহিঃবিভাগ চালু না থাকায় গরিব ও সাধারণ রোগীরা প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিলেন। পরে ২০১৫ জানুয়ারিতে এক সভায় স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে হৃদরোগ বহিঃবিভাগ চালুর নির্দেশ দেন। তবে এ বিষয়ে বিগত দিনে হাসপাতালের পরিচালকের মধ্যে কেউই কোনো ধরনের উদ্যোগ নেওয়া নেননি। গত বছরের ১৩ এপ্রিল ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম পরিচালকের দায়িত্ব নেওয়ার পর ফাইলবন্দী থাকা স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। তিনি মন্ত্রী পদমর্যাদার আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর সহায়তায় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব (স্বাস্থ্যসেবা) লোকমান হোসেন মিয়ার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে হাসপাতালে হৃদরোগ (কার্ডিওলজি) বহিঃবিভাগের পাশাপাশি গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোরোলজি, ইউরোলজি ও ভাস্কুলার সার্জারি বহিঃ বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম চালু করেন। হাসপাতালের প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, এখন থেকে প্রতিদিন ডা. মো. শাহ আলম ইউরোলজি বহিঃবিভাগে রোগীদের সেবা দেবেন। এছাড়াও প্রতি সপ্তাহের তিন দিন হৃদরোগ বহিঃবিভাগে রোগী দেখবেন সহকারী রেজিস্টার ডা. মুসফিকুর রহমান এবং ডা. একে চৌধুরী রোগী দেখবেন ভাস্কুলার সার্জারি বহিঃবিভাগে। অন্যদিকে সপ্তাহে তিন দিন গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোরোলজি ইনডোর থেকে পাঠানো একজন চিকিৎসক এই রোগের রোগীদের চিকিৎসা দেবেন। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার মূল উদ্দেশ্য হলো হাসপাতালে সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করা। অন্য হাসপাতালে রেফার্ড করার মতো শব্দটি যেন না থাকে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।