প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী, বৃহত্তম ও সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক দল।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ও বৃহৎ সংগঠন। এটাই বাস্তবতা। জনগণের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য দল আওয়ামী লীগ।’
ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে দলীয় নেতাকর্মীরা গণভবনে শুভেচ্ছা জানাতে এলে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার আগে তার অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় দলের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা তার ছিল না। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেওয়া নিঃসন্দেহে তার জন্য বড় দায়িত্ব ছিল।
দল অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই ষড়যন্ত্র হয় এবং আমরা তা অতিক্রম করি। এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে।’
ছয় বছরের বাধ্যতামূলক নির্বাসন শেষে দেশে ফেরার দিনের কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সেদিন ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ তাকে স্বাগত জানিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালে তিনি যখন দেশে ফিরে আসেন, তখন দেশ পরিচালনা করছিল যুদ্ধাপরাধী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের হত্যাকারীরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর তার আস্থা ছিল। সেকারণেই তাকে হত্যা করা হতে পারে জেনেও দেশে ফিরে এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন, সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। বরং জনগণের অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। তাই সে আকাঙ্ক্ষা পূরণের প্রত্যয় নিয়ে দেশে ফিরেছিলাম।’
বঙ্গবন্ধু যে ইচ্ছা ও চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তার সরকার এখন কিছুটা হলেও বাস্তবায়ন করতে পেরেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার সব শক্তি ও সাহস আমি পেয়েছি আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে।’
কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের ভূমিকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল এবং এর সহযোগী সংগঠন থাকায় আমরা কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, করোনাকালে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দল জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি এবং আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী এ কাজে জীবন উৎসর্গ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো সংগঠন বাংলাদেশের মানুষের জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করেনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশকে বদলে দিতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘তবে ভবিষ্যতে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সকালে গণভবনে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা।
এ সময় আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও ছিলেন।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
দিনাজপুরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত ২