November 15, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, February 14th, 2022, 8:14 pm

বসন্ত দোলায় পর্যটকরা: ফাগুনে মেরিনড্রাইভ সেজেছে পলাশ-শিমুলের অপরূপ সাজে

আজ পহেলা ফাল্গুন, ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। আর ফাল্গুনের শুরুতেই অপরূপ সাজে সেজেছে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের দু’পাশ। পাহাড় আর সাগরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়টির দু’পাশে গাছে গাছে রং ছড়াচ্ছে পলাশ, শিমুলসহ নানা রঙের বাহারী ফুলে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে আমের মুকুল ও বাহারি নানা ফুল।

পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রকৃতির এমন রূপ দেখতে পর্যটকরা এখানে ভিড় করছেন। বসন্ত উৎসব উপলক্ষে হোটেল মোটেলগুলো পর্যটকদের জন্য নানা আয়োজন রেখেছে। এছাড়া পর্যটকদের জন্য প্রশাসনের পক্ষে থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শীত শেষের দিকে ফাল্গুনে প্রকৃতির সাজে মুখরিত সমুদ্রসহ মেরিন ড্রাইভ সড়ক দেখতে আসে পর্যটকরা। মেরিন ড্রাইভের একপাশে সবুজের সমারোহ নিয়ে উঁচু পাহাড়, আরেক পাশে সমুদ্র। দু’পাশের সারি সারি পলাশ ও শিমুল গাছে ফুটেছে বাহারি রঙের ফুল। মাঝে মাঝে আমের মুকুল ও নানা রঙের ফুল শোভা বাড়িয়েছে বহু গুণ। গাছে গাছে পাখির কলতান আর মৌমাছির গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে ভিন্ন পরিবেশ। প্রকৃতির এমন রূপ দেখে আনন্দিত পর্যটকরা।

ঢাকার সাভার থেকে আসা দম্পতি মো. সাব্বির ও রেহেনা ইয়াসমিন জানান, কক্সবাজারের সমুদ্রের টানে এখানে আসলেও ফাল্গুনের শুরুতে মেরিন ড্রাইভ রোডের দু’পাশে ফোটা পলাশ, শিমুলও আকর্ষণের একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা সমুদ্র এবং পাহাড়ের মাঝাখানে রং ছিটিয়ে দিয়ে অপরূপভাবে সেজেছে। গতবছর মিডিয়ায় মেরিনড্রাইভের এমন সৌন্দর্য্য দেখে এবার কক্সবাজার ছুটে এসেছেন তারা।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ সূত্র জানায়, মেরিনড্রাইভ সড়কে ২০১২-১৩ অর্থবছরে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির ১০ হাজার চারা রোপন করে। এসব গাছে ফুল ফোটে সড়কটি ফুলে ফুলে সুশোভিত হয়েছে। এসব গাছে পাখির কলতান আর মৌমাছির গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে ভিন্ন পরিবেশ। এর ধারাহিকতায় মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়িতে একটি ক্যাকটাস হাউজ, একটি অর্কিড হাউজ ও আরও তিন হাজার শুভাবর্ধনকারী চারা রোপন করা হচ্ছে

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য মতে, গেল বছর ৮০ কিলোমিটার এ সড়কে টেকনাফ পর্যন্ত আরও ১০ হাজার শোভাবর্ধনকারী চারা রোপন করেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। যা কয়েক বছর পর প্রকৃতির এই সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পেয়ে পর্যটকদের বিমোহিত করবে

হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, সৈকতের বালিয়াড়ি আর সমুদ্রের লোনা জলে গা-ভাসিয়ে ভালোবাসায় আত্মহারা অনেকেই। তারুণ্যের অনাবিল আনন্দ আর বিশুদ্ধ উচ্ছ্বাসের যেন কমতি নেই পর্যটকদের। করোনা সংকটে সরকারি নির্দেশনা মতে নিয়ম নীতি মেনে পর্যটকদের সেবা দেয়া হচ্ছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসসহ কক্সবাজারে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি হয়রানি রোধে সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

—ইউএনবি