চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের একটি পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নেয়।
উদ্বোধনের চার বছরের মধ্যে ফ্লাইওভারের পিলারে ফাটলের খবরে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ফ্লাইওভারের সঙ্গে সংযোজিত র্যাম্পে বড় ধরনের ফাটল সৃষ্টি হয়েছিল। মূল ফ্লাইওভার থেকে প্রায় দুই থেকে আড়াই ইঞ্চি দেবে ফাঁক হয়ে যায়।
স্থানীয় কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরাল জানান, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের কালুরঘাটমুখী র্যাম্পের পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ওই অংশে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সিএমপির পক্ষ থেকে ব্যারিকেডের পাশাপাশি দু’জন ট্রাফিক সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুর রহমান জানান, মোহরার অংশে দিয়ে ওঠা ও নামা আপাতত বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে ষোলকবহর অংশে যানবাহন চলাচল করছে।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় ফ্লাইওভারের স্টিলের গার্ডার ধসে পড়ে ১৭ জন নিহত হয়। হঠাৎ করে তিনটি গার্ডার নির্মাণের সময় ফ্লাইওভার (ওভারপাস) থেকে পড়ে যায়। এর আগে ওই বছরের ২৯ জুন বহদ্দারহাটের এই নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার থেকে ১৩০ ফুট দীর্ঘ কংক্রিটের গার্ডার ভেঙে পড়েছিল।
জানা যায়, শহেরর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নগরের শুলকবহর থেকে বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত এম এ মান্নান ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। পরে এর নির্মাণ কাজ তদারকির দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। নির্মাণ কাজ শেষে ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
–ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক