সারাদেশে কোভিড-১৯ টিকা নিরাপদে ও সহজে পরিবহনের জন্য কোল্ড-চেইন ব্যবস্থা-সমৃদ্ধ বিশেষায়িত ১৮টি ট্রাক উপহার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্যে ইউএসএআইডি স্থানীয় বাজার থেকে চারটি ট্রাক ক্রয় করেছে এবং আরও ১৪টি ট্রাক আগামী মাসগুলোতে ঢাকায় এসে পৌঁছাবে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অব মিশন (ডিসিএম) উইলিয়াম ডাওয়ারস এবং যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি-এর মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন স্টিভেনস বাংলাদেশে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান সহায়তার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে একবারে নতুন ফ্রিজার ট্রাক হস্তান্তর করেন।
ইউএসএআইডি বাংলাদেশব্যাপী কোটি কোটি ডোজ কোভিড-১৯ টিকা পরিবহনের জন্য উপযুক্ত কোল্ড-স্টোরেজ সরঞ্জামে সজ্জিত গাড়ির একটি বহর প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার লক্ষ্যে মোট ১৮টি ফ্রিজার ট্রাক অনুদান দিচ্ছে।
এই কাজে ইউএসএআইডি-কে অংশীদার হিসেবে সহযোগিতা করবে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট (আইএফআরসি) এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। সংস্থাগুলো যানবাহন সংগ্রহ তত্ত্বাবধানের পাশাপাশি সারাদেশে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করবে।
ভারপ্রাপ্ত ডিসিএম ডাওয়ারস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নতুন এই ফ্রিজার ট্রাকগুলো অনুদান দিতে পেরে এবং কোভিড-১৯ মহামারি কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে পেরে সন্তুষ্ট। আমরা আশা করি যে মহামারির স্রোতকে রুখে দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে আকর্ষণীয় গতি অর্জন করেছে তা টেকসই হবে, মানুষ টিকা নিয়ে নিজেকে ও তার প্রিয়জনকে সুরক্ষা দেবে, যাতে করে সবাই মিলে আরও বেশি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডি, ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মহামারি মোকাবিলায় সহায়তা করতে ১ কোটি ৫০ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা এবং ১০২৮ কোটি টাকারও বেশি অনুদান দিয়েছে। এই সহায়তা কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি জাতীয় টিকাদান প্রচারাভিযানে সহায়তা করেছে, পরীক্ষা করার সামর্থ্য ও মনিটরিং জোরদার করেছে, রোগের ব্যবস্থাপনা, সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের চর্চাগুলো উন্নত করেছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নত ও সমৃদ্ধ করেছে।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা সম্মুখসারির কর্মীদের সুরক্ষা দিয়েছে এবং কোভিড-১৯ থেকে নিজেদের রক্ষা করার উপায়সহ এই রোগ সম্পর্কে জনসাধারণের জ্ঞান ও সচেতনতা বাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে ৪ বিলিয়ন ডলার বা ৩৪ হাজার কোটি টাকার অনুদান দিয়েছে, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে আল্ট্রা কোল্ড চেইন স্টোরেজ ব্যবস্থা, পরিবহন এবং কোভিড-১৯ টিকার নিরাপদ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করা। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ন্যায়সঙ্গতভাবে কোভিড-১৯ টিকা বিশ্বব্যাপী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের সর্ববৃহৎ দাতা দেশে পরিণত হয়েছে।
–ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম