November 30, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, September 20th, 2022, 7:40 pm

বাংলাদেশের কাছে হারের পর পদত্যাগ করলেন নেপাল কোচ

অনলাইন ডেস্ক :

টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে ফাইনালে ওঠা, নিজেদের মাঠে খেলা, প্রায় ১৫ হাজার স্বাগতিক দর্শকের সমর্থন। তবুও পারলো না নেপাল। হিমালয় কণ্যাদের হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় তুলেছে বঙ্গললনারা। সাফের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে ৩-১ গোলের সেই হারের পরই নেপালের কোচের পদ থেকে সরিয়ে দাড়িয়েছেন কুমার থাপা। ফাইনালের আগে বাংলাদেশকে বেশ সমীহ দেখিয়েছিলেন নেপাল কোচ। শিরোপার লড়াইয়ে নামার আগের চার ম্যাচেই বাংলাদেশের মেয়েরা প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছিলেন ২০ গোল, বিপরীতে নিজেদের জালে জড়াতে দেননি একটি গোলও। বাংলার মেয়েদের টুর্নামেন্টজুড়ে এমন পারফরম্যান্স সমীহ করতে বাধ্য করাবে যেকোনো প্রতিপক্ষকেই। তবে বাংলাদেশকে সমীহ করলেই নিজেদের নিয়েও আশাবাদী ছিলো নেপালের কোচ কুমার থাপা। ফাইনালে মাঠে নামার আগে কাগজে কলমেও এগিয়ে ছিলো নেপাল। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে নেপাল প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছিলো ১১ গোল, তারাও বিপরীতে হজম করেনি একটি গোলও। বাংলাদেশের সঙ্গে সাফের আগের ছয় দেখায় তাদের জয় ৪ ম্যাচেই, বাকি দুটিতেও ড্র। বাংলাদশের কাছে হারের ইতিহাস ছিলো না হিমালয় কণ্যাদের। ফাইনালের জন্য দশরথ স্টেডিয়ামের সব টিকিটও বিক্রি হয়ে গিয়েছিলো। স্বাগতিক দর্শকদের সমর্থন তো বাড়তি পাওনা হিসেবেই কাজে লাগাতে পারতো কোনো কিছুই। তবে কাগজ কলমের পরিসংখ্যান যে নস্যি, ফুটবল যে মাঠের খেলা, সেটিই প্রমাণ করেছেন সাবিনা-সানজিদারা। নিজেদের অদম্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে সাফের শিরোপা জিতে নিয়েছে বাংলার মেয়েরা। দশরথ স্টেডিয়ামের প্রায় ১৫ হাজারের ওপর স্বাগতিক দর্শকদের গগণবিদারী চিৎকারকে যেন মুহুর্তের মধ্যেই নিস্তব্ধ করে দিয়েছে কৃষ্ণা-রুপনারা। ম্যাচের আগেও যেখানে সব পরিসংখ্যান ছিলো নেপালের পক্ষে, সেখানে ম্যাচশেষে ৩-১ গোলের হার মেনে নিতে পারেননি কুমার থাপাও। নেপালের মেয়েদের মতো কোচও যেন হারের বিষাদ সহ্য করতে পারেননি ডাগআউটে দাঁড়িয়ে। ম্যাচশেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে হারের দায় কাঁধে নিয়েই পদত্যাগ করলেন কুমার থাপা। নেপালের কোচের পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়ে কুমার থাপা বলেন, ‘আমি নেপাল জাতীয় নারী দলের কোচের পদ ছেড়ে দিচ্ছি। সাফল্য না পেলে কোনভাবেই এখানে পদ আঁকড়ে ধরে রাখা উচিত নয়।’ টুর্নামেন্টজুড়ে দুই দলের কেউই নিজেদের জালে বল জড়াতে দেয়নি। ফাইনালে এসে নিজেদের জাল অক্ষত রাখতে পারেনি কেউই। তবে কৃষ্ণার জোড়া গোল আর শামসুন্নাহার জুনিয়রের ১ গোলে নেপালের জালে বাংলাদেশ বল জড়িয়েছে ৩ বার। অন্যদিকে রুপনা চাকমার হাত ফাঁকি দিয়ে নেপালের মেয়েরা বাংলাদেশের জালে একবার বল পাঠালেও সেটি যথেষ্ট ছিলো না শিরোপাজয়ে।