বাংলাদেশের জনগণই চূড়ান্তভাবে তাদের নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও বৈধতা এবং তাদের দেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়ন নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক প্রাক-নির্বাচন প্রতিনিধি দল।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘সমর্থন ও শক্তিশালী করার চেতনায়’ তাদের প্রাক-নির্বাচনী বিবৃতি দেয়।
আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নীতিমালার ঘোষণা অনুসারে মিশনটি পরিচালনা করে আইআরআই ও এনডিআই।
রবিবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমগুলোকে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল, সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও ইস্যুসমূহ কভার করার স্বাধীনতা দিতে হবে এবং নাগরিকদের ভয়ভীতি ছাড়াই নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে।
সুশীল সমাজ সংগঠন এবং কমিউনিটি ভিত্তিক সংগঠনের মধ্যে যারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যুতে কাজ করে, তাদের কার্যক্রম কমাতে বাধ্য হওয়া বা কোনো ধরনের হুমকির মুখোমুখি যেন না হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নতুন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার করা উচিত নয়। একই সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারীকে লক্ষবস্তুতে পরিণত করা উচিৎ নয়। সরকারের উচিত এর বাস্তবায়নে নাগরিক ও অন্যান্য অংশিদারদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া অব্যাহত রাখা।
নাগরিক পর্যবেক্ষকদের যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সব বিষয়ে প্রবেশাধিকার থাকে তা নির্বাচনী বিধিমালায় নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে নাগরিক সংস্থাগুলোর বিধিবিধান ও মনিটরিংয়ের ঘোষণাপত্র বৈশ্বিক নিয়ম অনুসারেই হতে হবে।
অহিংসার প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িত অপরাধীদের জবাবদিহির উপর জোর দিয়েছে প্রতিনিধিদল।
আইআরআই-এনডিআই-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সহিংসতার মুখোমুখি হওয়া উচিত নয়। এ ছাড়া আইনি ও অহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সময় রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমান সুরক্ষা পাওয়া উচিত।’
সব দলেরই উচিত প্রকাশ্যে অহিংসার বিরুদ্ধে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া এবং তাদের নিজস্ব দলের সদস্য বা সমর্থকদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা করা।
সমস্ত দলের নির্বাচনী অহিংসতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি বহুদলীয় আচরণবিধি মেনে চলা উচিত।
নির্বাচনে নারীর বিরুদ্ধে অনলাইন ও অফলাইনে সহিংসতা প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ ও সমাধানে রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের পদক্ষেপ নিতে হবে।
তারা স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থাপনা জোরদারসহ সব দলকে অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় জড়িত হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য পরিবেশ তৈরির উপর গুরত্বারোপ করেন।
নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার এবং কর্মী ও তহবিল বৃদ্ধির মাধ্যমে এর ক্ষমতায়নের উপরও গুরুত্বারোপ করেন তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা নিতে হবে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ